বাংলাদেশ - চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪২ বছর তথা
মৈত্রী বিনিময় বর্ষ উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলে বৃক্ষ রোপন ও চারা বিতরণ
কর্মসূচি পালন করেছে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব, সিলেট জেলা শাখা।
২৮ জুলাই শুক্রবার সুনামগঞ্জের ছাতক চরমহল্লার
চাঁনপুর গ্রামে এই বৃক্ষ রোপন ও চারা বিতরণ কর্মসূচি পালিত হয়। চীন আন্তর্জাতিক
বেতারের বাংলাদেশ মনিটর ও সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের চেয়ারম্যান দিদারুল ইকবাল
বৃক্ষ রোপন ও চারা বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় দিদারুল ইকবাল বলেন, বৃক্ষ
প্রকৃতির এক অমূল্য সম্পদ। বৃক্ষ ছাড়া মানব জীবন এমনকি পৃথিবীও অচল। বৃক্ষরাজি আছে
বলে মানুষ বেঁচে আছে। এই বৃক্ষ আমাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, আসবাবপত্র,
মানববহন, কৃষি যন্ত্রপাতি, ঔষধ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, ছায়া, ফুল-ফল, কাঠ ও জ্বালানির যোগান দেয়। এমন কি জীবজন্তু বিশেষ করে পশুপাখিরও আশ্রয়স্থল হচ্ছে বন ও
গাছপালা। গাছ আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ এবং ক্ষতিকারক
কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশকে নির্মল রাখতে সাহায্য করে। গাছপালা পৃথিবীর
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কাজেই আসুন আমরা বেশি করে গাছ লাগাই, নিজেরা সুস্থ্য
থাকি এবং পরিবেশকেও সুন্দর রাখি।
বাংলাদেশ - চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪২ বছর তথা মৈত্রী বিনিময় বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন অত্যন্ত ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও ভালো অংশীদার। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নতুন কিছু নয়; এ সম্পর্ক প্রাচীন। দুই হাজার বছরেরও বেশি আগের এই সম্পর্ক। যদিও ১৯৭৫ সালে চীনের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু হয়। দুই দেশের মৈত্রী সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে বরাবরই চমৎকার ছিল, ক্রমে তা আরও নিবিড় হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প ক্ষেত্রে চীন আমাদের গনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা করে আসছে। চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীর, মজবুত এবং শক্তিশালী হলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
এ
সম্পর্কিত ছবির অ্যালবাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>>
বাংলাদেশ - চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪২ বছর তথা মৈত্রী বিনিময় বর্ষ উপলক্ষ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন অত্যন্ত ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও ভালো অংশীদার। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী নতুন কিছু নয়; এ সম্পর্ক প্রাচীন। দুই হাজার বছরেরও বেশি আগের এই সম্পর্ক। যদিও ১৯৭৫ সালে চীনের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু হয়। দুই দেশের মৈত্রী সম্পর্ক শুরু হওয়ার পর থেকে বরাবরই চমৎকার ছিল, ক্রমে তা আরও নিবিড় হচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে, অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, শিল্প ক্ষেত্রে চীন আমাদের গনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সহযোগিতা করে আসছে। চীনের সাথে আমাদের সম্পর্ক গভীর, মজবুত এবং শক্তিশালী হলে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।
পরে চীনের মহামান্য প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং
এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচালক ইউকোয়াং ইউয়ে-এর নামে
“বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী বৃক্ষ” (শি ট্রি, ইউ ট্রি) শিরোনামে একটি রেইনট্রি ও একটি
মেহগনির চারা রোপন করেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলাদেশ মনিটর দিদারুল ইকবাল ও
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. চাঁন মিয়া। এছাড়া তারা
হাওড়ের বিভিন্ন খোলা জায়গায় আরো বেশ কয়েকটি বৃক্ষ রোপন শেষে গ্রামবাসির মধ্যে ফলদ,
বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব,
সিলেট জেলা শাখার সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধে, মো. আহার আলী,
মো. মুকিম আলী, মো. শাহজাহান, মো. লালমিয়া, মো. রহিম, মো. রবী আলী, আসকর আলী,
ইলিয়াছ আলী, মহিম আলী, মো. সুজন মিয়া, শাকিল মিয়া, মো. জাকারিয়া, কলি আক্তার
প্রমূখ।
এ
সম্পর্কিত ছবির অ্যালবাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন>>>>>