অবশেষে আর্থিক সংকটের কারনে স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে গেল “রেডিও রাশিয়া” বাংলা বিভাগের অনলাইন ব্যবস্থা। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৩ থেকে আর্থিক বিনিয়োগের বিষয়ে রদবদলে “রেডিও রাশিয়া” নামের কোম্পানীর কাজ শেষ করা ও “রিয়া-নোভস্তী” নামের সংবাদ সংস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে বাংলা ভাষার রেডিও রাশিয়া সাইট বন্ধ করা হচ্ছে। এটা রেডিও রাশিয়া বাংলা ভাষার শ্রোতাদের জন্য অত্যন্ত দু:খের খবর।
গত ২৯ অক্টোবর রেডিও
রাশিয়া ৮৪ বছরে পা দিয়েছিল। ১৯২৯ সালের ২৯ অক্টোবর বিদেশী শ্রোতারা প্রথমবার ইথারে
শুনতে পেয়েছিল মস্কো থেকে প্রচারিত রেডিও’র আহ্বান সঙ্গীত। এই ভাবেই বিশ্বে শুরু
হয়েছিল প্রথম আন্তর্জাতিক রেডিও সম্প্রচার। লক্ষ্য ছিল বিদেশীদের সোভিয়েত দেশ
সম্বন্ধে জানানো। জার্মান ভাষার অনুষ্ঠান দিয়ে প্রথম সম্প্রচার শুরু করা হয়। এরপর
চালু হয় ফরাসী ও ইংরেজী ভাষার অনুষ্ঠান।
প্রথমে এই রেডিও
কোম্পানীর নাম দেওয়া হয়েছিল “মস্কো রেডিও”। পরে তার নাম পাল্টে রাখা হয় “রেডিও
রাশিয়া”। বিশ্বে আন্তর্জাতিক বেতার হিসেবে প্রথম সম্প্রচার শুরু করেছিল “মস্কো
রেডিও বা রেডিও রাশিয়া”। এর তিন বছর পরেই দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক রেডিও সম্প্রচার
শুরু করে “বিবিসি”। আর ৭ বছর পরে “ভয়েস অব আমেরিকা”।
এই বেতারের তথ্য অনুযায়ী রেডিও
রাশিয়ার অনুষ্ঠান শোনা যায় বিশ্বের ৩৩টি ভাষায় মোবাইল টেলিফোনে, আর ইন্টারনেটে
৩৯টি ভাষায়। আশি লক্ষের বেশী মানুষ রেডিও রাশিয়া স্টেশনের সঙ্গে সামাজিক সাইটে
বন্ধুত্ব স্থাপন করেছেন। রেডিও রাশিয়ার তথ্যানুসারে জানা গেছে, তারা সামাজিক
গবেষণা করে দেখেছে এই রেডিও স্টেশন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের পেশা ও
বয়সের প্রায় ১০ কোটিরও বেশী মানুষ শুনে থাকেন।
শ্রোতারা বেতারের
পাশাপাশি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রেডিও অনুষ্ঠান শোনা ছাড়াও ভিডিও চিত্র দেখা, সংবাদ
পড়া, সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে সংবাদ প্রচার ও এমনকি আরএসএস ফিডের মাধ্যমে রেডিওর
অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানতে পরছেন।
১৯৪২ সালের ১৮ মে ভারতীয় উপমহাদেশে ভয়েস অব রাশিয়ার অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। ওই দিনগুলো ২য় বিশ্ব যুদ্ধের দু:সহ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য চালু হওয়ায় প্রথম অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রনক্ষেত্রের সংবাদ’। তবে ১৯৫৫ সাল থেকে আলাদাভাবে হিন্দী, ঊর্দূ এবং বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু হয়েছিল।
১৯৪২ সালের ১৮ মে ভারতীয় উপমহাদেশে ভয়েস অব রাশিয়ার অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। ওই দিনগুলো ২য় বিশ্ব যুদ্ধের দু:সহ স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেয়। ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য চালু হওয়ায় প্রথম অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রনক্ষেত্রের সংবাদ’। তবে ১৯৫৫ সাল থেকে আলাদাভাবে হিন্দী, ঊর্দূ এবং বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান সম্প্রচার চালু হয়েছিল।
দিদারুল ইকবাল
পরিচালক
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব
(সার্ক)
ঢাকা, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment