বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র
ফাঁসের বিষয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগেরই একজন নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান
বলেছেন বিষয়টিতে সরকারের আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়া উচিত ।
ঢাকায়
বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের একই অনুষ্ঠানে বিএনপির একজন নেতা মীর মোহাম্মদ
নাসির উদ্দিন বলেছেন জড়িতদের শাস্তি হচ্ছে না বলেই প্রশ্নপত্র ফাঁস থামানো
যাচ্ছে না ।বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ব্যাপক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সংলাপে প্রথমেই বিষয়টি আলোচনায় আসে । একজন দর্শক প্রশ্ন তোলেন এটি কিভাবে বন্ধ করা যাবে?
আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান স্বীকার করেন এজন্য সরকারের দিকে থেকে আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ।
মি: খান বলেন , “ এটা সত্যি যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে আমাদের ছাত্রদের মধ্যে একটা মনস্তাত্ত্বিক চাপ পড়ছে এবং এতে দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আজকে আমাদের সরকার, দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। আমার মনে হয় সরকারী প্রেসের জায়গাটায় আরও বেশি তৎপর হওয়া দরকার যাতে এখান থেকে প্রশ্ন ফাঁস না হয়।”
অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিষ্ট বিএনপি নেতা মীর মোঃ নাসির উদ্দিন মনে করেন জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি না হবার কারনেই এ ধরনের ঘটনা থামানো যাচ্ছে ন। ।
প্যানেলিষ্টদের আরেকজন গবেষক নাজনীন আহমেদ মনে করেন প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির বিষয়টি তার চোখে পড়ছে না। অনুষ্ঠানে একজন দর্শকও মন্তব্য করেন সরকার বিষয়টিতে ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয় ।
বাংলাদেশে সংলাপের দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিলো লোকসানের হাত থেকে বিমান বাংলাদেশকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়? সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে ।
বিএনপি নেতা ও সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মি: নাসির তার অভিজ্ঞতা থেকে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করেন ।
তিনি বলেন , “ট্রেড ইউনিয়নের কাছে সমস্ত বিমান জিম্মি, প্রশাসন জিম্মি। পদক্ষেপ নিতে চাইলেই তারা হরতালে চলে যায়, রাজনৈতিক সরকার তাঁদের ভাবমূর্তি ও জনপ্রিয়তা রক্ষা করতে কিছু বিষয়ে অনড় হতে পারে না।”
তাঁর সাথে একই মতামত দেন আরেকজন সাবেক বিমানমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান । মি: খান বলেন , “একটা গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে অনেক সময় কোন কঠিন পদক্ষেপ নেয়া সমস্যার হয়ে যায়। এর অর্থ এই না যে এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব না। ”
কয়লা খনি ইস্যুতে সম্প্রতি দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে যে আন্দোলন হয়েছে সে প্রেক্ষাপটে একজন দর্শক প্রশ্ন করেন সেখানে খনির বিষয়ে সরকারের দিক থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসেছে কিনা ? অন্যতম প্যানেলিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ এ্যানী সেখানে কয়লা খনির বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন , “ওই এলাকাটা আমাদের খাদ্য সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। অন্য জায়গায় বন্যা হলেও ওখানে বন্যা হয়না। মানুষ মরে গেলে কি অর্থনীতি থাকবে? আমরা কি কয়লা খাব? ভাত খাব না? ”
বাংলাদেশ সংলাপে বিতর্কের আরেকটি বিষয় ছিলো অবকাঠামো ঠিক না করে ঢাকায় পথচারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সমর্থনযোগ্য কিনা ? অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সকল দর্শকই পুলিশের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন ।
No comments:
Post a Comment