চলতি বছর
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে অফিসিয়াল সফরে আসেন চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা
বিভাগের উপ-পরিচালক চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা)।
এর মধ্যে
তিনি বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদসহ বেতারের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের সাথে সিআরআই ও বাংলাদেশ বেতারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বৈঠক করেন।
গত ৬
নভেম্বর শুক্রবার সকালে সিআরআই বাংলা বিভাগের উপ-পরিচালক চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা)
রাজধানীর আগারগাঁও শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ বেতারের জাতীয় বেতার ভবন পরিদর্শনে
আসেন। এসময় তাকে বেতারে স্বাগত জানান বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো:
ওমর শরীফ এবং এবিএম রফিকুল ইসলাম।
ঢাকা
বেতারের উপ-পরিচালক মো: ওমর শরীফ চাও ইয়ানহুয়া (সুবর্ণা)-কে বেতারের সকল স্টুডিও
এবং মাস্টার কন্ট্রোল রুম (এমসিআর) ঘুরে দেখান। সুবর্ণা-কে বাংলাদেশ বেতার মিডিয়াম
ওয়েভ, শর্ট ওয়েভ এবং এফএম-এ প্রতিদিন কত ঘন্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে থাকে এবং
কি কি অনুষ্ঠান সম্প্রচার হয় সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানান।
পরে বাংলাদেশ
বেতার, ঢাকা ‘বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর’ উপলক্ষে "বন্ধুত্বের চার
দশক” শিরোনামে ভিআইপি স্টুডিও-তে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। বেতারের
উপ-পরিচালক এবিএম রফিকুল ইসলামের প্রযোজনায় এবং মো: গোলাম আজমের সম্পাদনায় সাক্ষাৎকারটি
গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেন দিদারুল ইকবাল।
"বন্ধুত্বের
চার দশক” শীর্ষক বিশেষ সাক্ষাৎকারে দু’দেশের বন্ধুত্ব এবং নানান সহযোগিতার
বিষয়গুলি উঠে আসে। এছাড়া আকাশ পথে বা ঈথারের মাধ্যমে চীন আন্তর্জাতিক বেতার এবং
বাংলাদেশ বেতার যৌথ ভাবে দু’দেশের সাংস্কৃতিক ও তথ্য আদান-প্রদান আরো বেশি করে
কিভাবে বিনিময় করতে পারে, ভবিষ্যতে উভয়ের সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারে সে বিষয়গুলি গুরুত্বের
সাথে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকার
গ্রহণ শেষে দিদারুল ইকবাল সিআরআই বাংলা বিভাগের উপ-পরিচালক চাও ইয়ানহুয়া
(সুবর্ণা)-কে বাংলাদেশ বেতারের প্রকাশিত দ্বি-মাসিক পত্রিকা “বেতার বাংলা” উপহার
দেন।
উল্লেখ্য, একই
দিনে রাত ৮:১০ মিনিটে বাংলাদেশ বেতারের মিডিয়াম ওয়েভ ৬৯৩ কিলোহার্জ এবং এফএম ১০৬
মেগাহার্জে প্রচারিত ২০ মিনিট স্থিতির সাক্ষাৎকার ভিত্তিক অনুষ্ঠানটি শ্রোতাদের
মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। যা ফেইসবুক ফ্যান পেইজে শ্রোতাদের মতামতে লক্ষ্য করা যায়।
দিদারুল
ইকবাল
বাংলাদেশ
মনিটর
চীন
আন্তর্জাতিক বেতার
ঢাকা, বাংলাদেশ।
No comments:
Post a Comment