: পাণ্ডুলিপি :
দিদারুল ইকবাল: প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের
সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা ব্যাপক
উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে যিশু খ্রিষ্টের জন্ম উৎসব “বড়দিন”।
এ উপলক্ষে চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগ
মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজন করেছে বিশেষ অনুষ্ঠান “আনন্দ উৎসবে বড়দিন”।
এই আয়োজনে আপনাদের সাথে আছি আমি – দিদারুল ইকবাল
এবং বেইজিং-এ সিআরআই স্টুডিওতে রয়েছেন – ছাই ইউয়ে মুক্তা।
এছাড়াও আমাদের সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা
থেকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন শ্রোতা এবং অতিথিবৃন্দ।
আমরা তাদের সাথে বড়দিনের উৎসবের নানা বিষয় ও আয়োজন
নিয়ে কথা বলবো।
তার আগে আপনাদের জানিয়ে দিচ্ছি বড়দিন উৎসবের
কিছু সংক্ষিপ্ত তথ্য।
আপনারা জানেন, বড়দিন একটি বাৎসরিক খ্রিস্টীয়
উৎসব। ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালিত হয়। আদি
যুগীয় খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুসারে, এই তারিখের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরির গর্ভে
প্রবেশ করেন যিশু। সম্ভবত, এই হিসাব অনুসারেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখটিকে যিশুর জন্ম
তারিখ ধরা হয়। অন্যমতে একটি ঐতিহাসিক রোমান উৎসব অথবা উত্তর গোলার্ধের দক্ষিণ
অয়নান্ত দিবসের অনুষঙ্গেই ২৫ ডিসেম্বর তারিখে যিশুর জন্মজয়ন্তী পালনের প্রথাটির সূত্রপাত
হয়। বড়দিন বড়দিনের ছুটির কেন্দ্রীয় দিন এবং খ্রিষ্টধর্মে বারো দিন ব্যাপী
খ্রিস্টমাস টাইড অনুষ্ঠানের সূচনা দিবস।
প্রকৃতিগতভাবে একটি খ্রিষ্টীয় ধর্মানুষ্ঠান হওয়া
সত্ত্বেও, একাধিক অ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও মহাসমারোহে বড়দিন উৎসব পালন করে। এমনকি
কোনো কোনো ক্ষেত্রে উৎসবের আয়োজনে প্রাক-খ্রিষ্টীয় ও ধর্মনিরপেক্ষ বিষয় ভাবনার
সমাবেশও দেখা যায়। উপহার প্রদান, সংগীত, খ্রিষ্টমাস কার্ড বিনিময়, গির্জায়
ধর্মোপাসনা, ভোজ এবং খ্রিষ্টমাস বৃক্ষ, আলোকসজ্জা, মালা, মিসলটো, যিশুর জন্ম দৃশ্য
এবং হলি সম্বলিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনী আধুনিককালে বড়দিন উৎসব
উদযাপনের অঙ্গ। কোনো কোনো দেশে ফাদার খ্রিষ্টমাস কর্তৃক ছোটদের জন্য বড়দিনে উপহার
আনার উপকথাটি বেশ জনপ্রিয়।
এই বড়দিনের আরো কয়েকটি নাম রয়েছে যেমন, ক্রিসমাস,
খ্রিস্টমাস, নেটিভিটি, নয়েল, শীতকালীন পাস্কা।
উদযাপন:
বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রেই বড়দিন একটি প্রধান
উৎসব তথা সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। এমনকি অ-খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ
কয়েকটি দেশেও মহাসমারোহে বড়দিন উদযাপিত হতে দেখা যায়।
অধিকাংশ দেশে প্রতি বছর বড়দিন পালিত হয় ২৫
ডিসেম্বর তারিখে। তবে রাশিয়া, জর্জিয়া, মিশর, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ারমতো
কয়েকটি ইস্টার্ন ন্যাশনাল চার্চ ৭ জানুয়ারি তারিখে বড়দিন পালন করে থাকে। কারণ, এই
সকল চার্চ ঐতিহ্যশালী জুলিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে; জুলিয়ান
ক্যালেন্ডারের ২৫ ডিসেম্বর প্রামাণ্য জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের ৭ জানুয়ারি তারিখে
পড়ে।
যিশুর জন্মোৎসব:
খ্রিষ্টধর্মে খ্রিষ্টমাস বা বড়দিন হল যিশুর
জন্মোৎসব। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস অনুযায়ী, আদি বাইবেলে ত্রাণকর্তা-সংক্রান্ত একাধিক
ভবিষ্যদবাণীতে বলা হয়েছে যে কুমারী মেরির গর্ভে তাদেঁর মসিহা বা ত্রাণকর্তার জন্ম
হবে। এই উপাখ্যান অনুসারে, স্বামী জোসেফের সহচার্যে বেথলেহেম শহরে উপস্থিত হয়ে
মেরি যিশুর জন্ম দেন। জনপ্রিয় ধারণা অনুযায়ী, একটি আস্তাবলে গবাদি পশু পরিবৃত
অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিশু। যদিও বাইবেলের উপাখ্যানে আস্তাবল বা গবাদিপশুর
কোনো উল্লেখই নেই।
খ্রিষ্টানরা নানা ভাবে বড়দিন উদযাপন করে থাকে।
এগুলির মধ্যে গির্জায় উপাসনায় যোগ দেওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও রয়েছে
অন্যান্য বিভিন্ন উপাসনা পদ্ধতি ও জনপ্রিয় রীতিনীতি।
আমরা এই বড়দিনের উৎসবের নানা বিষয় নিয়ে অতিথি
এবং শ্রোতাদের সাথে কথা বলবো।
এখন আমরা কথা বলবো রেডিও ভেরিতাস এশিয়া (আরভিএ)
বাণীদিপ্তীর পরিচালক ফাদার জয়ন্ত গমেজ-এর সাথে।
ফাদার জয়ন্ত গমেজ: বড়দিন পালনের তাৎপর্য, উৎসবের
সাজসজ্জা, খ্রিষ্টমাস ট্রি, খ্রিষ্টমাস কার্ড, যিশুর জন্ম, সান্টাক্লজ এবং বিশেষ
ভোজ সভা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর................।
দিদারুল ইকবাল: ধন্যবাদ ফাদার জয়ন্ত গমেজ। সিআরআই-কে
সময় দেওয়ার জন্য এবং শ্রোতাদের বড়দিন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানানোর জন্য।
শ্রোতাবন্ধুরা এতক্ষণ আপনারা শুনছিলেন আরভিএ
বাণীদিপ্তীর পরিচালক ফাদার জয়ন্ত গমেজের বড়দিন সম্পর্কিত মতামত।
এখন আমরা কথা বলবো, নওগাঁ’র ইমানুয়েল বাস্কের
সাথে।
ইমানুয়েল বাস্কে:................।
দিদারুল ইকবাল: এখন কথা বলবো গোপালগঞ্জের শ্রোতা
বিধান চন্দ্র টিকাদারের সাথে।
বিধান চন্দ্র টিকাদার:................।
দিদারুল ইকবাল: এখন কথা বলবো, সিআরআই লিসনার্স
ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলালের সাথে।
সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল:................।
দিদারুল ইকবাল: এখন কথা বলবো, ফরিদপুরের শ্রোতা
এম.এম.গোলাম সারোয়ারের সাথে।
এম.এম.গোলাম সারোয়ার:................।
দিদারুল ইকবাল: শ্রোতাবন্ধুরা আমরা এখন কথা
বলবো, হবিগঞ্জের শ্রোতা তাপসের সাথে।
তাপস:................।
দিদারুল ইকবাল: শ্রোতাবন্ধুরা আমরা এখন চলে যাবো
সিলেটে। সেখানে আমরা স্কার প্রকল্পের সিলেট সেন্টারের একটি সঙ্গীত পরিবেশনা শুনবো।
সঙ্গীত পরিবেশন করবে, মিলি, সুরাইয়া, পিংকী এবং ফৌজিয়া।
স্কার সিলেট: মঙ্গলদ্বিপ জ্বেলে অন্ধকারে দুচোখ
আলোয় ভর প্রভূ.......! সঙ্গীত পরিবেশনা।
দিদারুল ইকবাল: ধন্যবাদ স্কার সিলেট সেন্টারের
শিক্ষার্থী বন্ধুদের। এবং সেই সাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সঙ্গীত পরিবেশনে সার্বিকভাবে
সহযোগিতা করায় – রৌজী, দিপক, কনিকা এবং রেদওয়ানকে।
শেষকথা:
দিদারুল ইকবাল: শ্রোতাবন্ধুরা আমরা দেখতে দেখতে
অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এবার বিদায় নেবার পালা।
বড়দিনের বিশেষ আয়োজনে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের
সবাইকে সিআরআই বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা
রেডিও সেটে কিংবা মোবাইল ফোনের এফএম এ্যাপস-এর মাধ্যমে কিংবা ইন্টারনেটে
অনুষ্ঠানটি শুনছেন তাদের সবাইকে।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। কথা হবে আগামী
অনুষ্ঠানে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাইকে আবারো বড়দিনের শুভেচ্ছা। এবং সেই সাথে আসছে
২০১৬ ইংরেজী নববর্ষের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আমি – দিদারুল ইকবাল,
বাংলাদেশ মনিটর, চীন আন্তর্জাতিক বেতার, ঢাকা, বাংলাদেশ।
.....................................
.....................................
রেকর্ডিং তারিখ ও সময়:
২২-২৩ ডিসেম্বর ২০১৫, সন্ধ্যা ৬টা এবং সকাল
১০:৫৩মি.
প্রচার তারিখ ও সময়:
২৬ ডিসেম্বর ২০১৫, সন্ধ্যা ০৬:০০টা (FM: Dhaka-
102, Ctg- 90.0 MHz) এবং সন্ধ্যা ০৭:০০টা (MW- 1188 kHz, SW- 9490, 9600, 11610
KHz)
পুন:প্রচার:
২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, সকাল
০৮:০০টা (MW- 1188 kHz, SW- 9655, 11640 KHz) এবং ০৯:০০টা (FM: Dhaka- 102, Ctg-
90.0 MHz)
No comments:
Post a Comment