Greetings Message of DIDARUL IQBAL
শুরুতে সবাইকে জানায় আমার পক্ষ থেকে এবং আমাদের সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)-এর পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রীতি
ও শুভেচ্ছা।
আমি দিদারুল ইকবাল, বলছি
বাংলাদেশ থেকে। বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে সুস্থ ভাবে আসতে পেরে প্রথমে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার
কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
আমি এখন ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
জানাচ্ছি রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার মহা ব্যবস্থাপক ফাদার ভিক্টর এফ. সাদায়া, সিএমএফ. পিএইচডি-কে
যিনি এই প্রথম বাংলাদেশের কোন শ্রোতা প্রতিনিধিকে রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সদর দপ্তরে
আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এতে আমি অত্যন্ত সম্মানিত এবং গর্বিত অনুভব করছি।
আমি আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করছি মূলত যিনি আমাকে ২০১৬ সাল থেকেই ফিলিপাইন ভ্রমণে আসতে বার বার উৎসাহ দিয়েছেন,
অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন এবং সর্বশেষ ২০১৮ সালেও তিনি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি
হলেন, রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার অনুষ্ঠান পরিচালক ফাদার সিংরায়ণ এন্থোনিয়াপান। যার মূল
অনুপ্রেরণায় মূলত আমি ফিলিপাইনে আসতে পেরেছি। এছাড়া ফিলিপাইনে আসার সার্বিক সহযোগিতা
করায় আমি একি সাথে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা সার্ভিস
‘বাণীদীপ্তি’র পরিচালক ফাদার বুলবুল আগষ্টিন রিবেরুকে।
১১ এপ্রিল ২০১৯ রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সুবর্ণজয়ন্তী। একটি বেতারের জন্য এটি বিরাট মাইল ফলক এবং গর্বের। এই গর্বিত বেতারের একজন শ্রোতা হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার প্রথম দিন থেকে যারা কাজ করেছেন এবং এখনও যারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সে সকল কর্মকর্তা, কলাকুশলী এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকল শ্রোতাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
১১ এপ্রিল ২০১৯ রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী, সুবর্ণজয়ন্তী। একটি বেতারের জন্য এটি বিরাট মাইল ফলক এবং গর্বের। এই গর্বিত বেতারের একজন শ্রোতা হতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত। রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার প্রথম দিন থেকে যারা কাজ করেছেন এবং এখনও যারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সে সকল কর্মকর্তা, কলাকুশলী এবং এর সাথে সম্পৃক্ত সকল শ্রোতাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
আমার মাধ্যমে বাংলাদেশ
থেকে বহু শ্রোতা রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন
জানিয়েছেন। যাদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ না করলেই নয়। তারা হলেন, সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল,
মো: ওসমান গণী, ড. মির শাহ আলম, তাছলিমা আক্তার লিমা, মো: শহীদুল কায়সার লিমন, মো:
চাঁন মিয়া, মো: জসীম উদ্দীন, এম এম গোলাম সারোয়ার, শাহাদাৎ হোসেন আশরাফ, হালিম সৈকত,
মনিরুজ্জামান মনির, নুর মোহাম্মদ, ইয়াকুব আলী, শাওন খান, হাবিবুর রহমান, এম এ ছালাম,
এস এম আক্তারুল ইসলাম, সায়মা মজুমদার, ক্ষুদে শ্রোতা আমার ছেলে লাবীব ইকবাল সহ আরো
অনেকে।
রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ এপ্রিল সান্টো টমাস ইউনিভার্সিটি এবং ১১ এপ্রিল আরভিএ সদর
দপ্তরে আয়োজিত এই ঐতিহাসিক উদযাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমি গর্বিত এবং মুগ্ধ।
ফিলিপাইনে আয়োজিত মনমুগ্ধকর
এই ধরণের বিশাল উদযাপনী অনুষ্ঠানে এটাই আমার প্রথম অংশগ্রহণ। চোখ ধাঁধানো এই আয়োজন
দেখে আমি সত্যি বিস্মিত এবং হতবাক।
আমার ছোট বেলায় বাংলাদেশের
চট্টগ্রামে বসে শর্টওয়েভ রেডিও সেটের মাধ্যমে ফিলিপাইন থেকে সম্প্রচারিত যে রেডিও-র
অনুষ্ঠান মুগ্ধ হয়ে কানপেতে শুনতাম আজ আমি সেই রেডিও-র কম্পাউন্ডে (আঙ্গিনায়) ঘুরে
বেড়াচ্ছি! যেটা আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি! একজন সাধারণ শ্রোতার জন্য এটা নিঃসন্দেহে
বিস্ময়কর, আনন্দের এবং গর্বের। একজন শ্রোতা হিসেবে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে এসে রেডিও
ভেরিতাস এশিয়ার গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক মাটির স্পর্শ পেয়ে আমি সত্যি ধন্য, আবেগাপ্লুত!
আমি সত্যি মহা সৌভাগ্যবান, তাই আমি রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ।
ভেরিতাস মানে সত্য, সত্য
মানে আলো, আর আলো মানেই জ্ঞানের শক্তি। রেডিও ভেরিতাসের এই জ্ঞানের আলোয় আমাদের ব্যক্তি
ও পারিবারিক জীবনকে আলোকিত করেছে। এই বেতারের, বিশেষ করে বাংলা অনুষ্ঠান আমার জীবনে
অনেক প্রভাব ফেলেছে, নানা পরিবর্তন এনে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষা জীবন, কর্মক্ষেত্র, সমাজে
বসবাস সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও আরভিএ-র শিক্ষা কাজে লেগেছে। বিশেষ করে, চেতনা, সঞ্চয়ে
স্বাবলম্বন, মহৎ জীবন, অমৃত বাণী, বিজ্ঞান জগৎ, কিছুক্ষণ, মহিলা অঙ্গন, আজকের গণমাধ্যম,
আলাপন, ফিলিপাইনের কথা ইত্যাদি এই অনুষ্ঠান গুলোর চাহিদা শ্রোতাদের কাছে কখনো ফুরাবেনা।
বাংলা অনুষ্ঠান চালুর পর থেকে আজ পর্যন্ত যত অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে তার প্রতিটি বিষয়বস্তু
কোন না কোন ভাবেই শ্রোতাদের কাজে লেগেছে। আমাদের ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে প্রভাব ফেলেছে,
ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। সমাজের নানা অনিয়ম, অন্যায় ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত করতে সহায়তা
করেছে। অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে সহায়তা করেছে, সাহস জুগিয়েছে। আমার বিশ্বাস অন্য
শ্রোতারাও রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার অনুষ্ঠান শুনে আমার মত উপকৃত হয়েছেন। ফলে আমরা আরভিএ-এর
এই ঋণ কখনো শোধ করতে পারবো না।
এই রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার
সাথে ঠিক কবে থেকে বা কত তারিখ থেকে জড়িয়ে পড়েছি তা আজ স্পষ্ট করে দিন ক্ষণের হিসাব
করে বলা সম্ভব হবেনা, তবে কিছুটা ধারণা করে বলতে পারি এই সম্পর্ক কম করে হলেও ২৫-২৬
বছরের পুরনো (১৯৯৩-৯৪ সাল)। ঐসময় কোন একদিন রেডিও-র নব (টিউনার) ঘুরাতে ঘুরাতে পেয়ে
যাই নতুন একটি স্টেশন। অনুষ্ঠান শেষে স্টেশনের আইডি, ফ্রিকোয়েন্সি ও প্রচার সময় নিশ্চিত
হলাম। সেই থেকে শুরু রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সাথে পথ চলা। ধীরে ধীরে এই বেতারের সাথে
পত্র যোগাযোগ বাড়তে থাকে। উভয়ের মধ্যকার সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। শ্রোতাদের চিঠি-পত্রের
জবাবের অনুষ্ঠানে যখন আমার চিঠি পড়া হতো, আমার নাম ঘোষণা করা হতো, তখন কি যে ভালো লাগতো,
আনন্দ পেতাম তার প্রকৃত অনুভূতি এখন হয়ত প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক সপ্তাহে চিঠি-পত্রের
জবাবের অনুষ্ঠানে কানপেতে থাকতাম কখন আমার নাম ঘোষণা করা হবে, আমার চিঠি পড়া হবে, এ
আশায়। মাঝে মাঝে এমনও হতো প্রায় প্রতি সপ্তাহে আমার চিঠির জবাব দেওয়া হতো। এই বেতারে
যখন থেকে চিঠি লেখা শুরু করি তখন ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি এই বেতারের সাথে আমার হাজারো স্মৃতি
জড়িয়ে যাবে। আমি ভাবিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসে ফিলিপাইন স্টুডিও থেকে আমি যাদের
কন্ঠ রেডিও-তে শুনতাম বা এখনো শুনছি তাদের অনেকের সাথে বাস্তবে আমার কখনো সাক্ষাৎ হবে,
দেখা হবে, কথা হবে, ভাব বিনিময় হবে। কিন্তু বাস্তবে সবি হয়েছে।
আমি আরভিএ-র বাংলাদেশ
কার্যালয় বাণীদীপ্তি কর্তৃক আয়োজিত বাৎসরিক শ্রোতা সম্মেলনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী
এবং খুলনায় বহুবার যোগ দিয়েছি। এছাড়া ভারতে চিত্রবাণী কর্তৃক আয়োজিত শ্রোতা সম্মেলনেও
যোগ দেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ঐসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে দেখা হয়েছে আরভিএ-র অনেক
গুণী কর্মকর্তা, কর্মী বন্ধুদের সাথে। তাদের সাথে দেখা হওয়া এবং মুখমুখি কথা বলা ছিলো
অনেক রোমাঞ্চকর। আজ ফিলিপাইনের সদর দপ্তরে এসে আপনাদের সবার সাথে দেখা হলো, শুভেচ্ছা
বিনিময় হলো, একসাথে বসে খেলাম, আনন্দ করলাম, ছবি তুললাম, অফিস সহ সবকিছু ঘুরে দেখলাম।
সত্যি আমি মহা ভাগ্যবান।
আমার জীবনে রেডিও ভেরিতাস
এশিয়াকে নিয়ে একাধিক স্মরণীয় ঘটনা এবং মজার স্মৃতি রয়েছে। আমি দুটি ঘটনার স্মৃতিচারণ
করছি।
(ঘটনা- ১)
১৯৯৭ সালের ১ অক্টোবর
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় আমরা কয়েকজন শ্রোতা মিলে গঠন করি তদানিন্তন ওয়ার্ল্ড রেডিও
ডিএক্স লিসনার্স ক্লাব চট্টগ্রাম, যা বর্তমানে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)। ঐসময়
আমাদের ক্লাবের সদস্য ও আমার চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম মেহরাজ দু’জনে মিলে প্রায় একসাথে
রেডিও ভেরিতাসের অনুষ্ঠান শুনতাম এবং তা নিয়ে বেশ আলোচনা করতাম, চিঠি লিখতাম। এভাবে
একদিন সে হঠাৎ আমার নাম (উপাধি) দেয় “ভেরিতাস”! ঐসময় থেকে যখন তখন সে আমাকে “ভেরিতাস”
বলে ডাকে। তার সাথে যেখানেই আমার দেখা হতো সাথে সাথে বলতো “কিরে ভেরিতাস কেমন আছিস?”
কিংবা তার সাথে অন্য কেউ থাকলেও আমাকে দেখিয়ে বলতো “ভেরিতাস এসে গেছে”! এনিয়ে বেশ মজা
হতো। কারণ, আমাকে আমার নামে না ডেকে “ভেরিতাস” ডাকার হেতু তাকেই ব্যাখ্যা করতে হতো।
সেই থেকে এখনো তার সাথে যখন, যেভাবেই আমার দেখা হোকনা কেন আমাকে বলবে “ভেরিতাস কেমন
আছিস কিংবা ভেরিতাসের খবরাখবর কি?” পরিচিতজনদের মধ্যে যারা এটি শুনেছে তারাও এখনও মাঝে
মধ্যে আমাকে “ভেরিতাস” নামে ডেকে বিস্মিত করে দেয়! সত্যি আমি চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম
মেহরাজের দেওয়া এই “ভেরিতাস” উপাধিতে বিচলিত না হয়ে গর্বিত অনুভব করি, সম্মানিত বোধ
করি।
(ঘটনা- ২)
২০০৪ সালের কোন একদিন
বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার শ্রোতা তাছলিমা আক্তার লিমা আমার মোবাইলে ফোন করে রেডিও ভেরিতাস
এশিয়া সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতার সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চায়। আমি তাকে আন্তর্জাতিক
বেতার অনুষ্ঠান সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করি। এছাড়া তাকে নিয়মিত অনুষ্ঠান
শুনে বেশি বেশি চিঠি লিখতে উৎসাহিত করি, যদিও সে নিজেই একজন বেতার শ্রোতা। এভাবে তার
সাথে প্রতি সপ্তাহে বেতারের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা জমে উঠতো মোবাইল ফোনে।
তাকে শ্রোতাসংঘ গঠন করতেও উৎসাহিত করতে থাকি আমি। এভাবে একসময় আমাদের মধ্যে আরো গভীর
সম্পর্ক তৈরী হয়, পারিবারিক তথ্য জানাশোনা হয়। এবং অবশেষে আমাদের উভয় পরিবারের সন্মতিতে
২০০৮ সালের ১৯ এপ্রিল আমরা বিয়ে করি। রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সেতুবন্ধনের ছোঁয়ায় আমরা
শ্রোতা পরিচয় থেকে স্বামী-স্ত্রী (দম্পতি) পরিচয়ে আবদ্ধ হলাম। আমাদের বিয়ের পর শ্রোতা
এবং বেতার মহলে আমাদের “শ্রোতা দম্পতি” উপাধি দেওয়া হয়। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দদায়ক।
আমি কখনো ভাবিনি রেডিও শুনতে শুনতে শেষ পর্যন্ত একজন বেতার শ্রোতাকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে
খুজে পাবো বা বিয়ে করবো। এটা সত্যি অবিশ্বাস্য। আগে আমি রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার অনুষ্ঠান
শুনতাম একা একা, আর এখন আমরা দু’জন একসাথে শুনি। এখন আমাদের একটি পুত্র সন্তানও আছে,
তার নাম লাবীব ইকবাল, বয়স সাড়ে চার বছর। তাকেও আমরা এখন মোবাইলে (অনলাইনে) অনুষ্ঠান
শুনতে উৎসাহিত করি। একসময় সেও হয়ে উঠবে রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার একজন গর্বিত শ্রোতা বা
অনলাইন এ্ক্টিভিস্ট।
আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে
বলতে পারি এখন শুধু আমি নয় আমার পরিবারের জীবন চলার একটি অংশ হয়ে আছে রেডিও ভেরিতাস
এশিয়া।
যাইহোক, গত ২০১৮ সালের
৩০ জুন থেকে রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার বাংলা বিভাগের শর্টওয়েভ সার্ভিস বা রেডিও সম্প্রচার
আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে এবং তার পরিবর্তে ১ জুলাই ২০১৮ থেকে ইন্টারনেট পরিশেবায়
প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ রেডিও যুগ ছেড়ে ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে
ইতিহাসের অধ্যায় হয়ে গেল রেডিও সার্ভিস। এটা আমরা যারা প্রকৃত রেডিও শ্রোতা এবং যারা
রেডিও সেটে রেডিও-র অনুষ্ঠান শুনতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি তাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক
এবং কষ্টের। অপরদিকে বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে
না পারলে সেখানেও পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই আমরা রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার অনলাইন সার্ভিসকে
স্বাগত জানায়। আমরা আশা করবো, রেডিও ভেরিতাস এশিয়া আমাদের মাঝে পূর্বে রেডিও সার্ভিসে
যেভাবে ছিলো ঠিক একি ভাবে ইন্টারনেট মাধ্যমেও আমাদের পাশে থাকবে। আরভিএ আমাদের মাঝে
শতবর্ষ বেঁচে থাকুক, সাফল্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার
প্রতিটি অনুষ্ঠান শ্রোতাদের আরো কল্যাণ বয়ে আনুক, চেতনা বৃদ্ধি করুক, সকলের জীবন সত্যের
আলোয় আলোকিত করুক আমাদের সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক), বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে এই
প্রত্যাশা করি। আমরা রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার সাথে ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো।
ধন্যবাদ সবাইকে। আরভিএ-র
সুবর্ণজয়ন্তী সফল হোক।
(১১/০৪/২০১৯)
দিদারুল ইকবাল
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব
(সার্ক)
বাড়ী- ৩৩৬, সেকশন- ৭,
রোড- ২,
মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬, বাংলাদেশ।
মোবাইল+ইমু+হোয়াটসঅ্যাপ: +8801711-054985
ই-মেইল: didaruliqbal@gmail.com
ওয়েবসাইট: www.sarc97.blogspot.com
ফেইসবুক: www.facebook.com/didaruliqbal
No comments:
Post a Comment