মানুষের কর্মব্যস্ততা বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীলতাও। মানুষের মনের জানার আগ্রহকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে তাকে আরো সমৃদ্ধ করে দেয় গণমাধ্যম। আরও সহজ ভাবে বললে, গণমাধ্যম তথ্য সরবরাহ বা খবর পরিবেশন করে মানুষের জানার আগ্রহ বাড়ায়। গণমাধ্যমের দেখানো চোখে মানুষ তার সমাজ, দেশ ও বিশ্বকে দেখে। কারণ গণমাধ্যম মানুষ ও সমাজকে নিয়ে কাজ করে। গণমাধ্যম হলো গণমানুষের মুখপাত্র। গণমাধ্যমের সাথে যন্ত্র, ব্যাপক জনগোষ্ঠীর দর্শক- শ্রোতা-পাঠক জড়িত। সাধারণত সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, বই, রেডিও, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য, বিনোদন, শিক্ষা দেওয়া হয়। গণমাধ্যম যোগাযোগের এমন একটি মাধ্যম যা দ্বারা তথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য দর্শক-শ্রোতা-পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। প্রযুক্তিগত ভাবে ব্যবহৃত সব ধরনের মাধ্যমকে গণমাধ্যম বলা যায়।
ধরণভেদে গণমাধ্যম তিন ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমত- মুদ্রণ মাধ্যম। দ্বিতীয়ত- ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম, যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র। তৃতীয়ত- নিউ মিডিয়া বা নতুন মাধ্যম, যেমন: ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, ব্লগ ইত্যাদি। গণমাধ্যম প্রত্যেক মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অল্প সময়ে মানুষের কাছে অনেক তথ্য উপস্থাপন করে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেয়। সেই সাথে মানুষের আচরণ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি গঠন ও পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে গণমাধ্যমের ব্যবহার আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এতটা ব্যাপক যে, শহরে বা গ্রামে যেখানেই বাস করি না কেনো, এটি ছাড়া আমরা চলতে পারি না।
একিভাবে, যে কোন গণমাধ্যম বা মিডিয়া আত্মপ্রকাশের পর যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তা হচ্ছে দর্শক-শ্রোতা বা ভিজিটর বা পাঠক বা গ্রাহকে। শ্রোতা-দর্শক-পাঠকদের বলা হয়ে থাকে গণমাধ্যম বা মিডিয়ার প্রাণ ভোমরা বা প্রাণ। একজন মানুষের দেহ যেমন প্রাণ ছাড়া মৃত ঠিক তেমনি একটি গণমাধ্যম বা মিডিয়া দর্শক-শ্রোতা-পাঠক ছাড়া মৃত! মিডিয়ায় যদি কোন রকম দর্শক-শ্রোতা-পাঠক বা গ্রাহক না থাকে তাহলে এই মিডিয়ার কোন মূল্য নেই!
দর্শক-শ্রোতা-পাঠক কি?
দর্শক বা শ্রোতাকে ইংরেজিতে বলা হয় “অডিয়েন্স”। অডিয়েন্স বলতে এমন কিছু দর্শক শ্রোতাকে বোঝায় যারা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্দিষ্ট স্থানে সমবেত হয়। আবার অন্যভাবেও বলা যায় দর্শক শ্রোতা হলো এমন কিছু লোকের সমষ্টি যাদেরকে উদ্দেশ্য করে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়।
দর্শক-শ্রোতা বা পাঠক কে ও কত প্রকার?
একজন বক্তার সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ভর করে দর্শক-শ্রোতার উপর। বার্তার প্রেরণ এবং গ্রহণ এ দু’য়ের সমন্বয়ে কার্যকর যোগাযোগ হয়। এজন্য বক্তাকে তার শ্রোতার সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয়। যোগাযোগের মূল উপাদান হলো-এর দর্শক-শ্রোতা। অর্থাৎ যাদেরকে উদ্দেশ্য করে মানুষ বক্তৃতা উপস্থাপন করে তারাই অডিয়েন্স বা দর্শক-শ্রোতা।
মূলত পাঁচ ধরনের শ্রোতা বা দর্শক-পাঠক রয়েছেন। এগুলো হলো সাধারণ, বাধ্য, নির্বাচিত, সচেতন ও সংঘবদ্ধ দর্শক-শ্রোতা।
(১) সাধারণ দর্শক-শ্রোতা তারাই যারা অনিয়মিত, তাদেরকে পূর্ব থেকে আহ্বান করা হয় না অর্থাৎ অনানুষ্ঠানিকভাবে তারা একত্রিত হন। যেমন: ক্রিকেট/ফুটবল/সার্কাস খেলার দর্শক।
(২) বাধ্য দর্শক-শ্রোতাদের বক্তার বক্তব্যে কোনো পছন্দ অপছন্দ থাকে না। এরা অনেকাংশেই বক্তার বক্তব্য শুনতে বাধ্য। যেমন: কোনো ক্লাব বা সংগঠনের সদস্য।
(৩) নির্বাচিত শ্রোতারা হলেন কোনো একটি সাধারণ উদ্দেশ্য নিয়ে সমবেত হওয়া অডিয়েন্স। যাদের ওই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কৌতূহল থাকে। যেমন: কোনো প্রেস কনফারেন্সে নির্বাচিত সাংবাদিকগণ।
(৪) সচেতন শ্রোতা বলতে যারা স্বেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে বক্তার বক্তব্য শোনার জন্য সমবেত দর্শকমন্ডলীকে বোঝায়। তারা বক্তার বক্তব্য আগ্রহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শোনেন এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে প্রস্তুত থাকেন।
(৫) সংঘবদ্ধ দর্শক-শ্রোতারা হলেন বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক, ধর্মভিত্তিক ও সামাজিক দলের সাথে যুক্ত দর্শক।
এছাড়াও দর্শক-শ্রোতার বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে আরও তিন ধরনের দর্শক-শ্রোতা রয়েছে। এরা হলো নিরপেক্ষ দর্শক-শ্রোতা, বিরূপভাবাপন্ন দর্শক-শ্রোতা, সহনশীল দর্শক-শ্রোতা।
(ক) যারা বক্তার বক্তব্যের বিষয়ে উদাসীন এবং বক্তব্যের আধেয় সম্পর্কে তাদের কোনো আগ্রহথাকে না তারা নিরপেক্ষ দর্শক-শ্রোতা, (খ) যারা বক্তার কথা শুনলেও বক্তা ও দর্শক-শ্রোতার মাঝে মৌলিক কিছু অসম্মতি দেখতে পান কিংবা মাঝে মাঝে রাগান্বিত হয়ে ওঠেন তারা বিরূপভাবাপন্ন এবং (গ) যারা শুরু থেকে বক্তার মতামতের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন, এই ধরণের দর্শক-শ্রোতারা সহনশীল দর্শক-শ্রোতা।
বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া বা সামাজিক গণমাধ্যমের কল্যাণে প্রতিটি ব্যক্তিরই অগণিত দর্শক-শ্রোতা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় যার একটি অ্যাকাউন্ট আছে তার সঙ্গে যুক্ত পরিচিতজন এমনকি অনেক অপরিচিত মানুষও তার উপস্থাপিত তথ্যের দর্শক-শ্রোতা। এক্ষেত্রে সোশ্যাল সাইটগুলোর দর্শক-শ্রোতা নিয়ন্ত্রণের একটি পদ্ধতি বা সুযোগ থাকে, তা হলো কোনো ব্যক্তি চাইলে তিনি তার তথ্যসমূহ নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শক-শ্রোতাকে (অনলি ফ্রেন্ডস) জানাতে পারেন আবার তিনি তথ্যকে সেই সাইটের সকল দর্শক-শ্রোতার (পাবলিক) জন্য উন্মুক্ত রাখতে পারেন।
শ্রোতা-দর্শক-পাঠক ফোরাম বা ফ্যান ক্লাব:
একটি আধুনিক ও মানসম্পন্ন গণমাধ্যম বা মিডিয়ার শ্রোতা-দর্শক, ফ্যান ক্লাব বা পাঠক ফোরামের দায়িত্ব কী?
শ্রোতা-দর্শক বা পাঠক তো যে কেউ হতে পারে, রেডিও কে শুনছে, টেলিভিশন কে দেখছে কিংবা পত্রিকা কে পড়ছে তা তো আর জানা সম্ভব নয়। তবে একটি সেতুবন্ধন শ্রোতা-দর্শক বা পাঠকদের সাথে তৈরির জন্য প্রত্যেক মিডিয়ার কিছু রেজিস্টার্ড শ্রোতা-দর্শক-পাঠক, ফ্যান ক্লাব রাখা জরুরী, আসলে তারা শুধু শ্রোতা-দর্শক বা পাঠক নয়, তারা রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা বা যে কোন মিডিয়ার জন্য প্রেরণাদানকারীও।
মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গুলোকে অবশ্যই তার কিছু রেজিস্টার্ড শ্রোতা-দর্শক-পাঠক, ফ্যান ক্লাব রাখতে হয় যাতে তারা শুধু সংশ্লিষ্ট মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে নয় বরং তারা নিজেদের মধ্যেও যাতে এক ধরণের সম্পর্ক তৈরী করতে পারে। মিডিয়া কর্তৃপক্ষ এসব শ্রোতা-দর্শক-পাঠক-ফ্যান ক্লাবের দায়িত্বশীল কার্যক্রম, লেখা প্রচার ও প্রকাশের পাশাপাশি ভিন্ন শ্রোতা-দর্শক-পাঠকদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী করে দেওয়া এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনস্তত্ব গঠনে সহযোগিতা করে থাকে। অর্থাৎ এটাই হচ্ছে আধুনিক গণমাধ্যমের বা মিডিয়ার কাজ। শুধু জনগণের পিছু নেওয়াই মিডিয়ার কাজ হতে পারে না।
রেজিস্টার্ড শ্রোতা-দর্শক-পাঠক-ফ্যান ক্লাব মূলত সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার মানোন্ননে বিভিন্ন মতামত, পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। শুধু তাই নয় এরা ঐ মিডিয়ার প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন দায়িত্বশীল ভূমিকাও পালন করে থাকেন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে। যেমন: বেতারের ‘শ্রোতাক্লাব’, টেলিভিশনের ‘ভিউয়ারর্স ফোরাম’, প্রথম আলোর ‘বন্ধুসভা’, যুগান্তরের ‘স্বজনসমাবেশ’ ইত্যাদি।
এই ক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড শ্রোতা-দর্শক-পাঠক-ফ্যান ক্লাবের প্রতি সংশ্লিষ্ট মিডিয়া হাউজও বিশেষ কিছু দায়িত্ব পালন করে। কর্তৃপক্ষ তাদের অনুপ্রেরণা দিতে মাঝে মধ্যে এক্টিভ শ্রোতা-দর্শক-পাঠককে বিভিন্ন উপহার/পুরস্কার/স্মারক প্রদান করে। এতে করে উভয়ের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক আরো বৃদ্ধি পায় এবং মজবুত হয়।
আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো- পৃথিবীব্যাপী সবশ্রেণীর শ্রোতা-দর্শকের ভিড় এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে ঝুকে গেছে এবং ক্রমেই আরও বেশি মাত্রায় যাচ্ছে, ফলে সকল মিডিয়ার আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে এর পাঠক-দর্শক-শ্রোতা বা ভিজিটর। আরও স্পষ্ট করে বললে ভোক্তারা অর্থের বিনিময়ে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার গ্রাহক হবেন; তাঁদের সাবস্ক্রিপশন ফি বা গ্রাহক মাশুলই হবে মিডিয়ার আয়ের প্রধান উৎস।
শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বাড়ানোর উপায়:
মিডিয়ায় বেশি পরিমাণ দর্শক-শ্রোতা-পাঠক বাড়ানোর এবং তাদের ধরে রাখার উপায় গুলো চিহ্নিত করা অতি প্রয়োজন।
যেমন:-
(১) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
(২) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক নমুনা জরিপ করা।
(৩) রেজিস্টার্ড শ্রোতা-দর্শক-পাঠক তৈরী করা এবং ফ্যান ক্লাব গঠন করা।
(৪) শ্রোতা-দর্শক বা পাঠকের চাহিদা চিহ্নিত করা।
(৫) শ্রোতা-দর্শক-পাঠকের ওপর সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার অনুষ্ঠানের প্রভাব বিশ্লেষণ।
(৬) সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার অনুষ্ঠানের প্রতি শ্রোতা-দর্শক-পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা।
(৭) আলোচিত যে কোন ঘটনার উপর ফলো-আপ সংবাদ বা অনুষ্ঠান তৈরী।
(৮) সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার কাছে শ্রোতা-দর্শক-পাঠক ও জনমানুষের প্রত্যাশা।
(৯) সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার প্রতি কমিউনিটির ভাবনা।
(১০) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বা ভিজিটর বা গ্রাহক চেনা।
(১১) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বাড়ানোর জন্য নতুন-নতুন উপায় খুঁজে বের করা।
(১২) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বা ফ্যান ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে মাঝে মধ্যে বিতর্ক বা আড্ডার ব্যবস্থা রাখা।
(১৩) শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বা ভিজিটরদের মতামত প্রদানে টেলিফোন, এসএমএস, ই-মেইল সেবার ব্যবস্থা রাখা।
শেষকথা:
শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বা ভিজিটর যে নামেই বলিনা কেন তারা কী চান, সেই চাহিদা পূরণের সামর্থ্য আছে কি না এবং বাণিজ্যিকভাবে তা লাভজনক হবে কি না, এসব বিষয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা না করে কেউ টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স নিয়েছেন, রেডিও’র লাইসেন্স নিয়েছেন বা পত্রিকা প্রকাশ করেছেন এমন নজির পৃথিবীতে বিরল। তারপরেও প্রতিনিয়ত টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং সংবাদপত্রের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদের মধ্যে অনেকেই শ্রোতা-দর্শক-পাঠক বা ভিজিটরদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না, ফলে তারা টিকে থাকতেও পারছেন না। আবার অনেকেই ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আসতে না আসতেই হারিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ শ্রোতা-দর্শক-পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে না পারা।
আপনি কিভাবে আপনার মিডিয়ায় বেশি পরিমাণ দর্শক-শ্রোতা বাড়াবেন এবং তাদের ধরে রাখবেন সে উপায় গুলো চিহ্নিত করতে হবে / প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করতে হবে। দর্শক-শ্রোতাদের আকৃষ্ট করার জন্য অবশ্যই মানসম্মত অনুষ্ঠান প্রচার/প্রদর্শন করতে হবে। দর্শক-শ্রোতা যাতে সহজে বুঝতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানের গুণগতমান বজায় রাখতে হবে।
মিডিয়া কর্তৃপক্ষের উচিৎ মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা, মানুষের মৌলিক চাহিদা সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা।
_______________
দিদারুল ইকবাল
বাংলাদেশ মনিটর
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
ও
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ।
মোবাইল: ০১৭১১-০৫৪৯৮৫,
ই-মেইল: didaruliqbal2@gmail.com
ফেসবুক: https://www.facebook.com/didaruliqbal/
No comments:
Post a Comment