যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে (শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১ বাংলাদেশ সময় ভোরে) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ভার্জিনিয়া সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তিনি প্রোস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন তিনি। শুক্রবার বাদ জুমা জানাজা শেষে যুক্তরাষ্ট্রে আদমস সেন্টার মসজিদের পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
এদিকে কাফি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগ।
কাফি খানের মৃত্যুতে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ এর সদস্য তথা ভয়েস অব আমেরিকার শ্রোতাবৃন্দ গভীর শোকাহত। শোক প্রকাশ করেছেন, ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও রেডিও এক্টিভিস্ট দিদারুল ইকবাল, প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক পরিচালক ড. মির শাহ আলম, ক্লাবের ভাইস চেয়ারম্যান তাছলিমা আক্তার লিমা ও ক্লাবের বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ।
কাফি খান ১৯৬৬ সালে ভয়েস অব আমেরিকায় যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তিনি ওয়াশিংটনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন। ১৯৮৩ সালে তিনি দ্বিতীয়বার ভয়েস অব আমেরিকায় যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৯৯ সাল থেকে তিনি বেশ কিছু দিন খণ্ডকালীন বেতার সম্প্রচারক হিসেবে ভয়েস অব আমেরিকায় যুক্ত ছিলেন। ষাটের দশকে ঢাকায় তিনি তদানীন্তন ইউনাইটেড স্টেট ইনফরমেশন অ্যাজেন্সি (ইউএসআইএ / তদনীন্তন USIS)-তে কাজ করেছেন। সত্তরের দশকের শেষ থেকে আশির দশকের প্রথম দিক পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ঢাকায় এসে পাকিস্তানের রাজস্ব বিভাগে কেরানির চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন কাফি। পাশাপাশি ১৯৫১ সালে পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা শাখায় বেতার-নাটকে কণ্ঠদানও শুরু করেন। এছাড়া ঢাকায় মঞ্চনাটকের অন্যতম সংগঠক হিসেবেও কাজ করতে থাকেন।
No comments:
Post a Comment