২৮ জুন ২০২২, মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কিশোরী ও নারীদের মধ্যে এই ডিগনিটি কিট বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনি রঞ্জন, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক)- সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো. চাঁন মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন, নাছিমা আক্তার, নুসরাত জাহান নিঝুম, লাকী আক্তার, ঝুমা আক্তার মনি, বাছিমা আক্তার, রিমি আক্তার, লাভলী আক্তার, পিংকী, সামিয়া, ইভা আক্তার, তাহরিনা সুলতানা ইমা, নুসরাত জাহান ইসা, রুনা আক্তার, সুমি আক্তার, নুরজাহান আক্তার, সানজিদা আক্তার, আফিদা আক্তার, জরিনা আক্তার, রেশমা আক্তার, সাদিয়া সুলতানা, জরিনা বেগম, লুতফা আক্তার, রেহানা বেগম, আমেনা খাতুন, মনিকা আক্তার পলি, সাহা বেগম, জেসমিন, নুসরাত জাহান, রুকসানা আক্তার তারিন, হাছিবা আক্তার প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গিয়েছিলো সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার প্রায় শতভাগ এলাকা। বন্যার পানি এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যা কোম্পানীগঞ্জের অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ফলে বন্যায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী, শিশু ও কিশোরীরা। বানের পানিতে তাদের কাপড়-চোপড় তলিয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরী হয়েছে। ঠিক এই মুহুর্তে ইউনিসেফের ডিগনিটি কিট কিশোরী ও নারীদের কিছুটা হলেও সুরক্ষা দিবে।
কিশোরী ও নারীদের মধ্যে ইউনিসেফের ডিগনিটি কিট যথাযথ ভাবে বিতরণ করতে পারায় সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, সিএসপিবি প্রকল্পের সিলেট বিভাগীয় শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মী মো. দিদারুল আলম।
উল্লেখ্য, প্রথম দফা (মে ২০২২) ভয়াবহ বন্যার ধকল না কাটতেই সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ফের মারাত্মক বন্যা দেখা দেয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন যান করছেন। উপজেলা সদরে অবস্থিত সরকারি অফিস এবং কোয়ার্টার জলমগ্ন হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এত ভয়াবহ বন্যা অত্রাঞ্চলের মানুষ পূর্বে কখনো দেখেননি। এবারের বানের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার সকল ঘরবাড়ি, জনপদ, রাস্তাঘাট সকল হাট বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সিলেট জেলা সদরের সঙ্গে পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment