১২ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার এই প্রচারণা করা হয়। ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও রেডিও এক্টিভিস্ট দিদারুল ইকবালের নেতৃত্বে প্রচারণা কার্যক্রমে অতিথি হিসেবে যোগ দেন বেতার ব্যক্তিত্ব ও ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ড. মির শাহ আলম। প্রচারণাটি সার্বিক ভাবে সফল করতে সহযোগিতা করেন ক্লাবের সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো: চাঁন মিয়া ও সদস্য মো: আকবর আলী।
প্রচারাভিযানে ড. মির শাহ আলম বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক শক্তিরাজ এই দুটি বিষয়ে আজকের পৃথিবীতে তুলনা করলে দেখা যাবে শক্তিতে অনেকে অনেক ভাবে এগিয়ে আছে। এই শক্তিগুলোকে অনেকে পছন্দ করেনা আবার ভয়ও পায়। কিন্তু গণমাধ্যম হিসেবে সত্য এবং সুন্দর ভাবে সারা পৃথিবীর তথ্যচিত্র তুলে ধরার ক্ষেত্রে যারা অনেক কষ্ট করছে, শ্রম সাধনা করছে তাদের আমরা যদি একটি তালিকা তৈরী করি তাহলে অনেক নাম এসে যাবে। এরমধ্যে রেডিও তেহরান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের এই দেশের যে মেরুকরণ অথবা পৃথিবীর যে মেরুকরণ এরমধ্যে সাম্রাজ্যবাদ আছে, এখানে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন আছে, ভূরাজনীতি আছে, এক দেশ আরেক দেশকে দখল করে নেয়ার প্রবণতা আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো অর্থ দিয়ে এবং অস্ত্র দিয়ে অথবা দুটো দিয়েই যারা শক্তিবাজ আছে তারা চেষ্টা করে মানুষের মন দখল করে নেয়ার। অনেক সময় এ চেষ্টা সাময়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটি স্থায়ী হয়না। কিন্তু গণমাধ্যম হিসাবে যে সত্যগুলি, তথ্যগুলি বা সংবাদগুলি মানুষের কাছে পরিবেশিত হয় এগুলি মানুষের মনে মগজে ধারণ করে এবং একসময় সত্যটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। সেই সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীর ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করছে রেডিও তেহরান। যেহেতু আজকের পৃথিবীতে যারা শক্তির মহড়া করছে তারা চেষ্টা করছে কোন না কোন ভাবে ভুরাজনীতিতে তাদের একটা বিশাল প্রভাব, বলয় সৃষ্টি করার। সেহেতু এই শক্তির বিপরীতে আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ প্রকৃত সত্য জেনে নেয়ার। আমরা রেডিও তেহরানের কাছ থেকে এ তথ্যগুলি দেখছি এবং তারা বিভিন্ন সাম্রাজ্যবাদী যে শক্তি গুলো আছে সবগুলি থেকে নিরপেক্ষ হয়ে এই কাজটি করছে। একসময় মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছিলো যখন শক্তি দিয়ে মানুষ সারা পৃথিবী দখল করে ফেলতো এবং এটি অনেক দিন স্থায়ী হতো, শতশত বছর বা অর্ধশত বছর, ৫০০ বছরের স্থায়ী হয়েছে এমন রাজত্বও আছে যারা শক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত থেকেছে। কিন্তু এখনকার সময়টা তেমন না, যে তীর-ধনুক-ভল্লম অথবা অস্ত্র দিয়ে মানুষের মন জয় করে ফেলবে। সুতরাং এই জয়ের বা স্থায়ীত্ব অর্জনের মাধ্যম একটায়, সেটা হলো- সত্য তথ্য মানুষের কাছে প্রচার করা। গণমাধ্যম হিসেবে রেডিও তেহরান সেই চেষ্টা করছে। সভ্য এই জগতে, সভ্য এই যুগে মানুষ যেখানে শিক্ষিত হচ্ছে, মানুষের চরিত্র উন্নত হচ্ছে, মানুষের আয়-উন্নতি বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে মানুষ যাতে সত্যটা গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নেয়, আসলে তার পন্থাটা কোনটা হবে? রেডিও তেহরান এ বিষয়ে বেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আজকের প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য প্রত্যেকেরই নিজস্ব গণমাধ্যম আছে এবং সবাই চেষ্টা করছে তার পক্ষে গণমাধ্যমটি ব্যবহার করতে। সেই ক্ষেত্রে যেহেতু প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের এসমস্ত মাধ্যম গুলোর চেয়ে রেডিও তেহরান অনেক কম শক্তিশালী এজন্য তারা চাচ্ছে বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সত্য এবং নির্ভীক ভূমিকা পালন করতে যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ তাদের দিকে আকৃষ্ট হয়।
প্রচারাভিযানের সময় সাদা পাথরে বেড়াতে আসা পর্যটক এবং কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটি ও সাদাপাথর ফটোগ্রাফি ক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের নেতৃবৃন্দ রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করেন, অনুষ্ঠান সূচি বিতরণ করেন এবং তাদেরকে রেডিও সেটে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে অনুষ্ঠান শুনতে উৎসাহিত করেন এবং রেডিও তেহরানের অনলাইন সংস্করণ পার্সটুডে ডটকম ওয়েবসাইট ভিজিট করার আহবান জানান। কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটি ও সাদাপাথর ফটোগ্রাফি ক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান তারা এখন থেকে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনতে চেষ্টা করবেন এবং সেটি তাদের ফেসবুক গ্রুপেও শেয়ার করবেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জের ফটোগ্রাফারদের মধ্যে মো: আলেক মিয়া, মো: নয়ন, আল মাহমুদ মুহিম, মো: মাসুদ রানা, মো: মেহরাব হোসাইন মিন্নাত ও ইকবাল হোসাইন। পর্যটকদের মধ্যে ছিলেন, মো: সাইফুল ইসলাম জীবন, মো: মামুনুর রশীদ, মো: হাসান, মো: শফি আহমেদ পায়েল, মো: জুয়েল, মো: সোহেল, মারুফ হাসন তনয়, সাদ্দাম হোসেন জিতু, মো: রকি প্রমুখ।
বার্তা প্রেরক,
তাছলিমা আক্তার লিমা
ভাইস চেয়ারম্যান
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব (সার্ক) বাংলাদেশ।
সূত্র:
সার্ক-কেন্দ্রীয়/IRIB/ক্লাব কার্যক্রম-৭@তারিখ: ১২/১১/২০২১ খ্রি.
No comments:
Post a Comment