প্রিয় বন্ধুরা, আমি চীন
আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের একজন নিয়মিত শ্রোতা। সিআরআই-এর বাংলা অনুষ্ঠান
আমার কাছে খুব ভাল লাগে। যা শুনে অনেক কিছু পাওয়া যায়, চীন সম্পর্কে গভীর ভাবে জানা
যায়। এই চীন বেতারের অনুষ্ঠানের সাথে আমার পথ চলা খুব বেশি দিন আগের নয়। আমি পেশায়
একজন প্রিন্টিং ব্যবসায়ী এবং থাকি সিলেটে। সিলেটের জিন্দাবাজার মুক্তিযোদ্ধা গলিতে
আমার প্রতিষ্ঠান। যদিও আমার গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার যাত্রাপুর
গ্রামে। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিকে মো: চাঁন মিয়া নামে একজন ভদ্রলোক আমার
প্রেসে আসেন তাঁর প্রতিষ্ঠানের কিছু প্রিন্টিং-এর কাজ করাতে। কাজের ফাঁকে ব্যক্তিগত
আলাপ-আলোচনার সময় জানতে পারি তিনি পেশাগত জীবনের পাশাপাশি অবসর সময়ে চীন আন্তর্জাতিক
বেতার সহ বিভিন্ন বেতারের অনুষ্ঠান শোনেন এবং সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব নামে একটি শ্রোতা
সংগঠনের সাথে জড়িত। আর হঠাৎ তখন মনে পড়ে গেল আমার ফেলে আসা সেই শৈশবের কথা। আমি বলছি
সেই ১৯৯০ সালের কথা। তখন আমার বয়স প্রায় ৯-১০ বছর। ঐসময় আমাদের ঘরে একটি ফিলিপস রেডিও
ছিলো কালো রঙের। মূলত এই রেডিও-তে আমার মা বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত বিভিন্ন গান,
নাটক ও খবর শুনতেন। মায়ের হাত ধরেই আমি রেডিও শুনা শুরু করি। তখন রেডিও-তে প্রচারিত
বাংলা ছায়াছবির গান, পল্লীগীতি, কৃষি বিষয়ক অনুষ্ঠান দেশ আমার মাটি আমার, নাটক, খেলাধূলার
অনুষ্ঠান গুলো আমার সবচেয়ে প্রিয় ছিল। মাঝে মধ্যে এমন হতো রাতে রেডিও-র অনুষ্ঠান শুনতে
শুনতে ঘুমিয়ে পড়তাম এবং মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতাম কানের পাশে রেডিওটি তখনো বাজছে!
এছাড়া দিনে স্কুল শেষে বিকেলে আমাদের বাড়ীর পাশে খোলা মাঠে বসে রেডিও শুনতাম, তখন ছোট
বড় অনেকে আমার পাশে বসে ভীড় করতো রেডিও শুনার জন্য। রাতে প্রতিবেশীদের মধ্যে কয়েকজন
মুরুব্বি আমাদের ঘরে আসতেন রেডিও-তে খবর শোনতে। ১৯৯২ কিংবা ১৯৯৩ সালের একটি ঘটনা যা
আজোও স্মৃতিতে উজ্জ্বল। তখন বাংলাদেশে চলছিলো আবাহনী-মোহামেডান ফুটবল দলের ফাইনাল খেলা।
তখন ছিলো বর্ষাকাল, যদিও ঐদিন বৃষ্টি ছিলো না। বিকেলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে বাড়ীর
কাছে বিলের মধ্যে নৌকায় বসে খেলার ধারাভাষ্য উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ ধারাভাষ্যকার চৌধুরী
জাফরউল্লাহ শরাফাত গোল গোল বলে চিৎকার করে উঠলেন। সাথে সাথে আমরাও গোল গোল করে চিৎকার
দিয়ে বসা থেকে দাড়িয়ে পড়লাম আর ঠিক তখনি ঘটলো দুর্ঘটনা। ব্যাপরটি বুঝে উঠার আগেই দেখি
আমার রেডিওটি নৌকা থেকে পানিতে পড়ে ডুবে গেছে! রেডিও শোনা নিয়ে এরকম আরো অনেক মজার
মজার ঘটনা আছে যা আজোও মনে পড়লে মনে হাসি পায় এবং ইচ্ছে করে সেই অতীতে ফিরে যাই। কিন্তু
তা আর সম্ভব নয়।
পারিবারিক কারনে ১৯৯৮
সালে আমাকে পড়া-লেখার ইতি টেনে সংসারের হাল ধরতে কর্মক্ষেত্রে ডুকতে হয়। কারণ ১৯৯৬
সালে বাবা অসুস্থ্য হয়ে কর্মক্ষেত্র থেকে অবসর নিলে সংসারের টানাপোড়ন শুরু হয়। পরিবারের
বড় ছেলে হিসেবে আমার উপর তখন অনেক দায়িত্ব। বলা যায় ২০০০ সালের পর থেকেই একটু একটু
করে আমার প্রিয় বেতারের সাথে দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে রেডিও শোনা বন্ধ হয়ে যায়।
মো: চাঁন মিয়ার কাছে আমার
শৈশবের রেডিও শুনার সেই গল্পগুলি তুলে ধরলাম। তখন তিনি আমাকে উৎসাহিত করে বললেন সাউথ
এশিয়া রেডিও ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পুনরায় রেডিও শোনা শুরু করতে এবং চীন আন্তর্জাতিক
বেতার সহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন বেতারের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঘড়ে তুলতে। তার উৎসাহে
আমি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সুনামধন্য সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের সদস্য হয়ে পুনরায় বেতার
জগতে ফিরে আসি। ক্লাবের চেয়ারম্যান ও চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলাদেশ মনিটর দিদারুল
ইকবাল আমাকে ১০ ব্যান্ডের একটি এ্যানালগ কেচিবো রেডিও উপহার দিয়ে বেতার জগতে ফিরে আসার
জন্য অভিনন্দন জানান। ২০১৫ সালের শেষের দিকে আমরা সিলেটে সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের
জেলা শাখা গঠন করি এবং আমাকে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়, সভাপতি হন মো: চাঁন
মিয়া। মূলত ঐসময় থেকেই অন্যান্য বেতারের পাশাপাশি চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের
সাথে আমার পথ চলার শুভ সূচনা। এর পূর্বে আমি কখনো চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান
শুনিনি। চীনাদের কন্ঠে ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলা শব্দ শুনে আমি বিস্মিত হয়ে উঠি এবং যা শুনে
আমার প্রাণ জুড়িয়ে যায়। পূর্বে আমি কখনো শুনিনি বা দেখিনি যে, চীনারা বাংলায় কথা বলতে
পারে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনার পর আমার সেই ধারণা একেবারেই পাল্টে
যায় এবং আমাকে এই বেতারের অনুষ্ঠান শুনতে আরো উৎসাহিত করে তুলে। সেই থেকে সিআরআই-এর
সাথে একত্রিত হয়ে মিশে আছি আজও। সিআরআই বাংলা বিভাগ থেকে প্রচারিত নিত্য নতুন অজানা
তথ্য আমাদের পথ চলায় সহায়তা করে চলেছে। আমার মতে সিআরআই-এর প্রতিটি অনুষ্ঠানে রয়েছে
নতুনত্ব। আর এই নতুনত্বের জন্যই শ্রোতারা সিআরআই-কে সর্বধা ভালোবাসে। এই জন্যই সিআরআই
অন্যান্য শ্রোতাদের মতো আমার হৃদয়কেও জয় করে নিয়েছে। সিআরআই বাংলা বিভাগের চীনা বন্ধুদের
সৌহাদ্যপূর্ণ মনোভাব অনুষ্ঠানের মান মর্যাদা বৃদ্ধি
করেছে। সিআরআই বাংলা বিভাগ থেকে বৈচিত্রময় অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের
শ্রোতাদের ব্যাপক বন্ধুত্ব গভীর ভাবে গড়ে উঠেছে। সিআরআই বাংলা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের
অর্থনীতি, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি-শিল্প, শিক্ষা-সাহিত্য, খেলাধূলা, ইতিহাস,
সমাজব্যবস্থা, চীনের মানুষের জীবনযাত্রা, লোক কাহিনী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি
সম্পর্কে জানতে পেরে সমৃদ্ধ হয়েছি আমি সহ অন্যান্য শ্রোতাবন্ধুরা। এই চীন আন্তর্জাতিক
বেতারের হাত ধরেই আমার আন্তর্জাতিক বেতার তথা ডিএক্সিং জগতে প্রবেশ। ইতিমধ্যে আমি চীন
আন্তর্জাতিক বেতারে একাধিকবার সাক্ষাৎকার দিয়েছি বিভিন্ন বিষয়ের উপর এবং সেগুলো প্রচারের
পর ব্যাপক আনন্দ পেয়েছি, গর্বিত অনুভব করছি।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের
সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার স্বল্প সময়কালে আমার অনেকগুলো মধুর স্মৃতি তৈরী হয়েছে। যার মধ্যে
এখানে দু’একটি উল্লেখ না করলে নয়। আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, সিআরআই বাংলা বিভাগের
পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং ইউয়ে (আনন্দী) এবং সিআরআই কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের পরিচালক খোং
চিয়া চিয়া (প্রেমা)’র সাথে দেখা হয়েছে ও শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে সরাসরি। ২০১৮ সালের
১১ মে সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের আয়োজনে ঢাকায় একটি শ্রোতা সমাবেশের আয়োজন
করা হয়। এতে আমি অংশগ্রহণ করি এবং অনুষ্ঠান শেষে আমাদের ক্লাবের প্রকাশিত কিছু ক্যালেন্ডার
মাদাম ইউ ও খোং চিয়া-কে উপহার দেই। ঐ ক্যালেন্ডারে সিআরআই বাংলা বিভাগের ৪৮তম প্রতিষ্ঠা
বার্ষিকী উদযাপন সহ আমাদের ক্লাবের বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচির ছবির পাশাপাশি মাদাম
ইউ ও সিআরআই দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের উপ-প্রধান সুন চিং লি-এর বাংলাদেশ সফরকালীন সময়ের
ছবি প্রকাশ করি। যা দেখে মাদাম ইউ অনেক আনন্দিত হয়েছেন। সত্যি কথা বলতে কি সিআরআই-এর
কোন চীনা নেতাদের সাথে সেটিই ছিল আমার প্রথম সাক্ষাৎ। আমি চীনা বন্ধুদের এত কাছ থেকে
পেয়ে এমন মুগ্ধ হয়েছি যে, যা অন্তরে অনূভব করা ছাড়া ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাদের
সাথে সরাসরি কথা বলতে পারায় আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। সেদিন আমি মাদাম ইউ ও খোং চিয়ার
সাথে একাধিক সেলফি তুলেছি যা আমার জীবনে উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে।
সিআরআই বাংলা বিভাগের
প্রধান মাদাম ইউ কোয়াং ইউয়ে (আনন্দী), ছাও ইয়ান হুয়া (সুবর্ণা),ছাই য়ুএ (মুক্তা),ইয়াং
ওয়েই মিং (স্বর্ণা), খোং চিয়া চিয়া (প্রেমা), ওয়াং তান হোং (রুবি), ওয়াং হাইমান (উর্মি),
শুয়ে ফেই ফেই, লিলি (লাবণ্য), ওয়াং ছুই ইয়াং (জিনিয়া), শিয়ে নান (আকাশ), লি ওয়ান লু
(শিশির) সহ চীনা বন্ধুদের কন্ঠ যখন থেকে রেডিও-তে শুনি তখন থেকেই তাদেরকে বাস্তবে দেখার
প্রবল আগ্রহ জাগতো মনে। সেটাও কিছুটা পূরণ হয়েছে ঢাকায় সিআরআই শ্রোতা সমাবেশে উপস্থিত
হয়ে। সত্যি সেদিন ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। মাদাম ইউ-এর সাথে কথা বলে আমার মনে
হয়েছে তারা বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার প্রতি অনেক আন্তরিক ও শ্রদ্ধাশীল। আমরা আমাদের ক্লাবের
উদ্যোগে নিয়মিত আমাদের প্রিয় বেতার সিআরআই-এর বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছি সিলেটে।
চীন ও চীন আন্তর্জাতিক বেতারের প্রচার প্রচারণায় আমাদের এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে যতদিন
বেঁচে আছি।
বেতারের প্রচার প্রচারণার
পাশাপাশি প্রিয় বেতার কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পেতে কার না
ভালো লাগে? ২০১৮ সালের ৩০ জালাই থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতার ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকা
কর্তৃক আয়োজিত “চীনা ভাষার আকর্ষণ” শীর্ষক একটি সাধারণ জ্ঞানযাচাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ
করে পাঁচ হাজারেরও অধিক প্রতিযোগীর মধ্যে আমার মেয়ে শিল্পী আক্তার মীম চতুর্থ পুরস্কার
জয় লাভ করে। ১০ নভেম্বর ২০১৮ ঢাকায় যমুনা ফিউচার পার্কে আয়োজিত “চার্ম অব চাইনিজ” শিরোনামে
জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার পেয়ে আমার পরিবারের
সকলেই বেশ আনন্দিত হয়েছে। মূলত এটাই ছিল সিআরআই থেকে পাওয়া আমাদের প্রথম পুরস্কার।
এই পুরস্কার আমাদের পরিবারে স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন।
১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি
থেকে শুরু হওয়া রেডিও পিকিং তথা আজকের চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার
কার্যক্রমের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে ২০১৯ সালের
১ জানুয়ারি। ৫০ বছর পূর্তি উৎসবের এই আনন্দঘন মুহুর্তে আমি সিআরআই-এর সকল শ্রোতা এবং
বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কলা-কুশলীদের আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন
ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ১৯৬৯ সাল থেকে আজ অব্দি বাংলা অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে সম্প্রচার
হয়ে আসছে। একজন বাঙালি হিসেবে আমি গর্ববোধ করছি বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে
এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলের একাগ্রচিত্ত ও অধ্যবসায়ের
ফলে সিআরআই-এর বাংলা ধ্বনি বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।
শুধু আমরা নয়, পৃথিবীর সমগ্র মানুষ আজ অনুভব করছে সিআরআই-এর পরিধি এবং এর অনুষ্ঠান
সম্প্রচারের মান ও দক্ষতার পরিমান। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান আজ অতি
সুনামের সাথে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই বেতার অগণিত শ্রোতাদের জন্ম দিয়েছে এবং তাদের
মন জয় করতে পেরেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্তরের শ্রোতাদের মনে
গভীর ছাপ ফেলেছে। সিআরআই-এর বাংলা অনুষ্ঠান এখন আন্তর্জাতিক প্রচার কেন্দ্র গুলোর মধ্যে
একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছে। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে চীন আন্তর্জাতিক বেতার
(সিআরআই) বাংলা বিভাগ সাফল্যের সাথে বাংলাদেশ সহ বাংলাভাষী শ্রোতাদের মনোরঞ্জনের পাশাপাশি
চীনের মানুষ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বেশি করে জানার ও বুঝার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে।
বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রচার প্রসারে বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্ধমান বন্ধুত্ব
ও অংশীদারিত্বকে জোরদার করতে প্রতিদিন মূল্যবান অবদান রেখে চলেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলা বিভাগ।
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
(সিআরআই) তার মিডিয়াম ওয়েভ, শর্টওয়েভ ও এফএম সম্প্রচার, ইন্টারনেট ওয়েবসাইট, ফেইসবুক
এবং কনফুসিয়াস ক্লাসরুম সহ বহুমাত্রিক মাধ্যমে বাংলা ভাষার অনুষ্ঠানকে আরো সমৃদ্ধশালী
করার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সিআরআই-এর বাংলা অনুষ্ঠান
প্রচার ৫০ বছর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তীর মাধ্যমে চীনা জাতির সাথে বাঙালি জাতির যে সুদৃঢ়
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। চীন ও বাংলাদেশের সহযোগিতামূলক
অংশীদারিত্ব ক্রমান্বয়ে যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তার অনেক অনেক কৃতিত্ব সিআরআই বাংলা বিভাগের।
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
(সিআরআই) বাংলা বিভাগের সুদীর্ঘ পথচলা আরো সুন্দর হোক, সমৃদ্ধ হোক, উন্নত হোক এবং শততম
বর্ষের দিকে এগিয়ে যাবে- একজন শ্রোতা হিসেবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ।
নিবেদক,
মো:
জসীম উদ্দীন
সাধারণ সম্পাদক
সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব
সিলেট জেলা শাখা
সুরমা
প্রিন্টার্স
মুক্তিযোদ্ধা
সংসদ গলি
জিন্দাবাজার,
সিলেট সদর
সিলেট,
বাংলাদেশ।
মোবাইল:
০১৭১৮-১০৭১৬১
ই-মেইল: jashimuddin3@gmail.com
No comments:
Post a Comment