'Chinese
language attraction' titled 'Charm of Chinese' award has been distributed by
CRI and Daily Amader Shomoy
দিদারুল ইকবাল, বাংলাদেশ মনিটর, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)॥
দিদারুল ইকবাল, বাংলাদেশ মনিটর, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)॥
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কেন্দ্র চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) ও দৈনিক আমাদের সময়ের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত হয়েছে ‘চীনা ভাষার আকর্ষণ’ শীর্ষক ‘চার্ম অব চাইনিজ’ অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান।
১০ নভেম্বর, শনিবার বিকেল তিনটায় যমুনা ফিউচার পার্কের সেন্টার কোর্ট-এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চাং জো। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চাং জো বলেন, ‘চীনা ভাষার আকর্ষণ’
শীর্ষক ‘জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতা’
হচ্ছে ‘চীনা সাংস্কৃতিক মাস’ ধারাবাহিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের শেষ কর্মসূচি এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার ও দৈনিক আমাদের সময় সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর দেশ ব্যাপী যৌথভাবে আয়োজিত প্রথম কর্মসূচি। এর সফল আয়োজন বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে চীন ও চীনা ভাষা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার আগ্রহ তৈরী করবে। এ ধরনের কর্মসূচি নিয়মিত আয়োজনের প্রত্যাশাও করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘চীন বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। এ সম্পর্ক আরও বাড়বে। আমি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের কার্যকর ভূমিকা আশা করি।’
সিআরআই বাংলা বিভাগের কর্মী খোং চিয়া চিয়া প্রেমা এবং ইভানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণ দেন, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং ইউয়ে (আনন্দী) এবং দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চীনা রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী ইয়াং ইউয়ান ছুন, চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সুন ইয়েন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর শিক্ষা কমিশনার সুই লেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক চৌ মিং তোং, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক চৌ ওয়েই ওয়েই। আমন্ত্রিত শ্রোতাক্লাব সংগঠকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিআরআই লিসনার্স ক্লাব অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ওসমান গণী, মহাসচিব জিল্লুর রহমান জিলু, যুগ্মমহাসচিব ও সিআরআই বাংলাদেশ মনিটর (দিদারুল ইকবাল), সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাব, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মো: চাঁন মিয়া, ঢাকা শাখার মো: ইয়াকুব আলী ও শাওন খান, চট্টগ্রাম শাখার নুর মোহাম্মদ ও রহমত উল্লাহ, রাউজান (চট্টগ্রাম) শাখার সাজ্জাদ হোসেন, শরীয়তপুর শাখার ইসমাইল হোসেন সাগর ও মো: রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শাখার এস এম আক্তারুল ইসলাম, সাউথ এশিয়া রেডিও ক্লাবের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সোনালী নিউজ ২৪ ডটকমের সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন আশরাফ, বিভিন্ন চীনা কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ সহস্রাধিক দর্শক।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক খাতে যোগাযোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়সী মানুষের মধ্যে চীনা ভাষা শেখার আগ্রহও বাড়ছে। এমনই প্রেক্ষাপটে দৈনিক আমাদের সময় ও চীন আন্তর্জাতিক বেতার আয়োজন করে ‘চীনা ভাষার আকর্ষণ’ শীর্ষক সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতা। এটি শুরু হয় গত ৩০ জুলাই। প্রতিযোগিতার বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময়, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) রেডিও, বাংলা বিভাগের ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের মাধ্যমে চীন সরকারের বৃত্তি, এইচএসকে পরীক্ষা, বাংলাদেশে চীনা ভাষা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের পরিচয় নিয়ে ধারাবাহিক ৬টি প্রবন্ধে ১১টি প্রশ্ন করা হয়। ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত ১১টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ, ভারত ও পকিস্তান থেকে ৫০০০ (পাঁচ হাজার)-এরও বেশি পাঠক অংশ নেন।
গত ৩ নভেম্বর, শনিবার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্মেলন কক্ষে প্রতিযোগিতার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০ জন এবং ভারত থেকে ১ জনসহ মোট ৩১ জন প্রতিযোগী এতে বিজয়ী হন।
লটারিতে প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন রাজধানীর নিউমার্কেটের ফেরদাউস রশিদ রাঈদ। দ্বিতীয় হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের নুসরাত জাহান সিনথিয়া, রাজশাহীর গ্রেটার রোডের আশিক ইকবাল টোকন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার মো. সেলিম, রাজধানীর দারুস সালামের শারমিন আক্তার ও পূর্ব রাজাবাজারের জান্নাতুল ফেরদৌস।
তৃতীয় হয়েছেন ১০ জন। তারা হলেন সিলেট কোম্পানীগঞ্জের সুলতানা আক্তার মুনিয়া, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের মনি আক্তার, দনিয়ার রায়হান আহমেদ, রামপুরার মুক্তা মালা, তেজগাঁওয়ের মো. ফরহাদ, কল্যাণপুরের আবু মোহাম্মদ আরিয়ান মুনতাসির, উত্তর গোড়ানের জিহাদ ইমাম, নাখালপাড়ার আবদুল কাদির শাকিল, কুমিল্লার দাউদকান্দির শায়লা আক্তার ও সাতক্ষীরার তালার বিউটি আক্তার।
চতুর্থ হয়েছেন ১৫ জন। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের সুমাইয়া তাবাসসুম আনহা, বগুড়ার চন্দন বাইশার এম মিনহাজ উদ্দিন বিপুল, সিলেটের জিন্দাবাজারের শিল্পী আক্তার মিম, চট্টগ্রামের বাকলিয়ার আবিদা সুলতানা, ঠাকুরগাঁওয়ের নিশ্চিন্তপুরের আবিদা সাহিদা মুক্তা, সিলেটের খাদিমনগরের তাহমিনা আক্তার লিমা, রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের শারমিন হাসান, এলিফ্যান্ট রোডের কানিজ আক্তার শানু, চট্টগ্রামের রাউজানের নুর মোহাম্মদ, চট্টগ্রামের ড্রাইডক কলোনির ফাইরুজ সুরাইয়া, ঢাকার আসিফ রায়হান তপু, রাজধানীর মাটিকাটার আহমেদ আল সাজিদ, মোহাম্মদপুরের নিশাত নাওয়ার মুক্তা, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মোবারক হোসেন ফনি এবং কলকাতার পূর্ব বর্ধমানের বেবি সুলতানা।
১০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রথম পুরস্কার (১টি) বিতরণ করেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত চাং জো ও তার স্ত্রী ইয়াং ইউয়ান ছুন। দ্বিতীয় পুরস্কার (৫টি) বিতরণ করেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর সুন ইয়েন। তৃতীয় পুরস্কার (১০টি) বিতরণ করেন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম সারোয়ার, আরটিভি’র সিইও সৈয়দ আশিক রহমান এবং চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের পরিচালক মাদাম ইউ কোয়াং য়ূএ। চতুর্থ পুরস্কার (১৫টি) বিতরণ করেন, ঢাকায় ইউনেস্কোর শিক্ষা কমিশনার মাদাম সুই লেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক চৌ মিং তোং, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক চৌ ওয়েই ওয়েই।
প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে দেওয়া হয় হুয়াওয়ে কোম্পানির একটি HUAWEI
nova 3i Android smart phone,
দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী ৫ জনকে দেওয়া হয় একটি করে Huawei MediaPad T3 10 Android
tablet,
তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী ১০ জনকে দেওয়া হয় একটি করে Joyroom Wireless Speaker JR-Mo4 এবং
চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী ১৫ জনকে দেওয়া হয় একটি করে Huawei wired Headphone HW-607।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেশীয় মডেল, চীনা ভাষার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শাড়ি শো, বাংলা গান, চীনের সংখ্যালঘু জাতির পোশাক ও জাতীয় পোশাক ছি পাও শো, চীনা ভাষার উচ্চারণ কৌশল, চীনা গান সহ চীনের সংস্কৃতি নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত প্রত্যেককে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ আলিমুল হক ও উপ-পরিচালক ছাও ইয়ান হুয়ার সম্পাদনায় প্রকাশিত “চিন্ময় চীন” এবং ছাও ইয়ান হুয়া ও এনামুল হক টুটুলের সম্পাদনায় “চীনের শিক্ষাব্যবস্থা উচ্চশিক্ষার বৈশ্বিক সম্ভাবনা” বই দুটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment