আজ চীন বেতারে প্রচার হবে এশিয়া কাপ
টি-টোয়ান্টি ফাইনাল ম্যাচের উপর দর্শক শ্রোতাদের সাক্ষাৎকার
বন্ধুরা,
আজ ১২ মার্চ ২০১৬, শনিবার, সন্ধ্যা ৬টায় FM: ঢাকা- 102.0 MHz এবং
চট্টগ্রাম- 90.0 MHz-এ চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই), বাংলা বিভাগের
মুক্তার কথা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হবে---- এশিয়া কাপ ক্রিকেট টি-টোয়ান্টির ফাইনাল
ম্যাচের উপর ক্রিকেট পাগল দর্শক শ্রোতাদের সাক্ষাৎকার। সন্ধ্যা ৭টায় মিডিয়াম ওয়েভ এবং
শর্টওয়েভে শ্রোতারা শুনতে পাবেন যথাক্রমে- 1188 kHz, 9490, 9600, 11610 MHz-এ।
অনুষ্ঠানটি শুনার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ রইল।
যাদের সাক্ষাৎকার প্রচার হবে;
(১) শহীদুল কায়সার লিমন, গাজীপুর।
(২) সৈয়দ আল বিরুনী, পিরোজপুর।
(৩) মো: ওসমান গণী, ঢাকা।
(৪) রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর।
(৫) জুনায়েদ আহমেদ সুজন, শরীয়তপুর।
(৬) চান মিয়া, সিলেট। এবং
(৭) মো: তামিম হোসেন, পাবনা।
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)
বাংলাদেশ।
“স্বপ্নের এশিয়া কাপ হাতছাড়া বাংলাদেশের, চ্যাম্পিয়ন
ভারত”।
ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে আটকাতে পারেনি
বাংলাদেশের বোলাররা। বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটিং নৈপুণ্যে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো এশিয়া কাপ জিতে নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির
দল।
৬ মার্চ রবিবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয়
স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের করা ১২০ রানের
জবাবে ১ ওভার ১ বল বাকি থাকতে ২ উইকেটে জয়ের বন্দরে পৌছেঁ যায় টি-টোয়ান্টির এক
নম্বর দল ভারত।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে হাইভোল্টেজ এ ম্যাচটি শুরু হয়
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে নয়টায়। রাত নয়টা দশ মিনিটে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত
নেয় ভারতের অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি। আবহাওয়ার কারনে ওভার কর্তন করে সীমিত ওভাবে
ম্যাচটির আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। ফলে দুই দল ১৫ ওভার করে খেলার সুযোগ পায়।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় বাংলাদেশের
টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে খেলতে থাকে। ইনিংসের
১২তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে
সাজ ঘরে ফেরেন টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পরের বলেই ক্যাচ
দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কঠিন চাপের মুখে পড়ে
বাংলাদেশ। এরপরই সাত নম্বর ব্যাটম্যান হিসেবে মাঠে নামেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মূলত
তখনই খেলায় ফিরে আসে বাংলাদেশ। সাব্বিরের সাথে জুটি বেধে শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। ব্যাটে ঝড় তুলেন মাহমুদুল্লাহ। হারদিক পান্ডের করা ১৪তম ওভারে ১৯
রান তুলে নেন তিনি। কোনো উইকেট না পাওয়া পান্ডের ৩ ওভারে ওঠে ৩৫ রান। বাকি চার
বোলার পান একটি করে উইকেট। মাত্র ১৩ বল মোকাবেলা করে রিয়াদ
দুটি করে চার ও ছক্কার সাহায্যে করেন ৩৩ রান। ওভারটি ছিল এমন, ৪+৬+২+৬+১+১+১=
অর্থাৎ ২১ রান। এই একটি ওভারে পুরো ম্যাচের চিত্রটাই পাল্টে দেন বাংলাদেশ দলের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। যেটি শেষ পর্যন্ত দলকে লড়াই
করার পুঁজি এনে দেয়। সাব্বিরের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি
জমে ওঠে মাত্র ২০ বলে। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে টানা চার ম্যাচে অপরাজিত থাকলেন ফিনিশার মাহমুদুল্লাহ। মাহমুদউল্লাহকে মূল্যবান
সহায়তা দিয়ে সাব্বির রহমানও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ২৯ বলে ৩২ রান করে। মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।
১২১ রানের টার্গেটে ভারতের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান আল আমিন হোসেন। দলীয় ৫ রানের
মাথায় রোহিত শর্মাকে বিদায় করেন আল আমিন হোসেন। এরপর উইকেটে
জুটি গড়েন বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ান।
প্রথম চার ওভারে ১৯ রান
দিয়ে ভারতকে চাপেই রেখেছিল আল-আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। তবে টুর্নামেন্টে প্রথমবারের
মতো খেলতে নামা তরুণ পেসার আবু হায়দার রনির করা পঞ্চম ওভারে ১৪ রান নিয়ে চাপটা
ঝেড়ে ফেলেন কোহলি ও ধাওয়ান। অর্ধশতক হাঁকিয়ে ধাওয়ান ইনিংসের ১৩তম
ওভারে তাসকিনের বলে সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত ক্যাচে বিদায় নেন। ধাওয়ান চলে গেলেও কোহলি ২৮ বলে ৫টি চারের সাহায্যে
৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি নেমেই খেলা শেষ করে দেন। আল আমিনের করা চতুর্দশ ওভারে দুই ছক্কা আর এক চারে অপরাজিত থেকে ভারতকে জয়ের
বন্দরে নিয়ে যান দলের অধিনায়ক, ৬ বলে ২০ রান। সাত বল
বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১২১ রান সংগ্রহ
করে ফেলে ভারত।
বলাবাহুল্য, ২০১২ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেই বাংলাদেশ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন জাগিয়েছিল। সেবার
পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র দুই রানে হেরে হতাশ হতে হয়েছিল
তাদেঁর। এবারের আসরে শ্রিলংঙ্কা এবং পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও বাংলাদেশ পেয়ে যায় ফাইনালের টিকেট। ম্যাচটিকে ঘিরে অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েছিল
বাংলার টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ভালো খেলেও সে প্রত্যাশা
আর পুরন করতে পারেনি কোহলি-ধাওয়ান-ধোনির ব্যাটিং নৈপুণ্যে।
খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ
পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের শিখর ধাওয়ান। আর পাঁচ খেলায় ১৭৬ রান করে ম্যান অব দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান।
খেলায় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও
টি-টোয়ান্টির এক নম্বর দলের সাথে বেশ হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই করতে পেরেছে। বাংলাদেশের
ক্রিকেট পাগল মানুষেরা কেউ সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলা দেখার সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়া
বাংলাদেশে ও দেশের বাহিরে লক্ষ কোটি বাঙালী খেলা দেখেছেন টিভি’র পর্দায়। বৈরী
আবহাওয়ার মধ্যেও সকলে চমৎকার ভাবে খেলা উপভোগ করেছেন।
তো আমরা এখন এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি নিয়ে
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকজন ক্রিকেট পাগল দর্শকের সাথে কথা বলবো এবং
তাদেঁর মতামত শুনবো।
(১) শহীদুল কায়সার লিমন, গাজীপুর।
(২) সৈয়দ আল বিরুনী, পিরোজপুর।
(৩) মো: ওসমান গণী, ঢাকা।
(৪) রাকিব হোসেন, শরীয়তপুর।
(৫) জুনায়েদ আহমেদ সুজন, শরীয়তপুর।
(৬) চান মিয়া, সিলেট। এবং
(৭) মো: তামিম হোসেন, পাবনা।
শ্রোতাবন্ধুরা,
আমরা দেখতে দেখতে অনুষ্ঠানের শেষ প্রান্তে চলে
এসেছি। তাই আজ এখানে বিদায় নিতে হচ্ছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের পক্ষ থেকে এশিয়া
কাপ বিজয়ী ভারত-কে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং সেই সাথে বাংলা টাইগারদেরও ধন্যবাদ
জানাচ্ছি দলকে ফাইনাল পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায়।
আসছে টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপে বাংলা টাইগাররা আরো
ভালো খেলবে এ প্রত্যাশা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি---
আমি,
দিদারুল ইকবাল
চীন আন্তর্জাতিক বেতার
বাংলাদেশ।