চীনা
বসন্ত উৎসব তথা মোরগ বর্ষ ২০১৭ উপলক্ষে চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই)-এর
বাংলাদেশী শ্রোতাদের অংশগ্রহণে নিচের বিশেষ অনুষ্ঠানটি তৈরী করে আজ ২১/০১/২০১৭,
শনিবার, বেইজিং, চীনে পাঠানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হবে ২৮/০১/২০১৭ তারিখ শনিবার, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের প্রথম অধিবেশন “মুক্তার কথা”য় (সংবাদের পর-৫)। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:০০টায় ঢাকা FM-102 এবং চট্টগ্রাম FM-90 মেগাহার্জে এরপর সন্ধ্যা ৭:০০টায় মিডিয়াম ও শর্টওয়েভে যথাক্রমে- 1188, 9490, 9600, 11610 কিলোহার্জে।
অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হবে ২৮/০১/২০১৭ তারিখ শনিবার, চীন আন্তর্জাতিক বেতার (সিআরআই) বাংলা বিভাগের প্রথম অধিবেশন “মুক্তার কথা”য় (সংবাদের পর-৫)। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:০০টায় ঢাকা FM-102 এবং চট্টগ্রাম FM-90 মেগাহার্জে এরপর সন্ধ্যা ৭:০০টায় মিডিয়াম ও শর্টওয়েভে যথাক্রমে- 1188, 9490, 9600, 11610 কিলোহার্জে।
একি
অনুষ্ঠান শুনা যাবে ২৯/০১/২০১৭ তারিখ রবিবার, সকাল ৮:০০টায় শর্টওয়েভে যথাক্রমে- 9655, 11640 কিলোহার্জে এবং সকাল ৯:০০টায় ঢাকা FM-102 এবং চট্টগ্রাম FM-90
মেগাহার্জে।
❤ শুভ চীনা নববর্ষ। ‘সিন চুন খোয়াইলা’। ❤
প্রিয়
শ্রোতাবন্ধুরা এখন চীনে চলছে বসন্ত উৎস। চীনের বসন্ত
উৎসব হচ্ছে চীনের চান্দ্র বর্ষের নববর্ষ উৎসব এবং চীনা নাগরিকদের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যিক
উৎসব।
এই
উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আজকের বিশেষ অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি দিদারুল
ইকবাল।
চলতি
২০১৭ খ্রিস্টবর্ষের ২৮ জানুয়ারি চীনের চন্দ্র পঞ্জিকার প্রথম মাসের প্রথম দিন, অর্থাৎ বসন্ত উৎসবের প্রথম দিন।
খ্রীষ্টানদের
বড় দিন কিংবা মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের দুর্গাপূজা উৎসবের মতো
এই বসন্ত উৎসব হচ্ছে চীনাদের জন্য সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম জাতীয় উৎসব বা বর্ষ বরণ উৎসব।
এই
বসন্ত উৎসব উদযাপনের রীতি এবং বৈচিত্র চীনা নাগরিকদের জীবন-চেতনায় এর আবেদন তীব্র আবেগ এবং একটি বিশেষ প্রথা হিসেবে প্রচলিত।
ঐতিহ্য
আর রীতি অনুসারে বসন্ত উৎসব চীনের চান্দ্রবর্ষের শেষ মাসের ২৩ তারিখ থেকে নতুন বছরের
প্রথম মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ লন্ঠন উৎসব পর্যন্ত প্রায় তিন সপ্তাহ ব্যাপী স্থায়ী হয়। বসন্ত
উৎসবের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ পুরনো বছরের শেষ দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ বসন্ত
উৎসবের প্রথম দিন হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি দিন। ঐতিহাসিক
তথ্য অনুসারে চীনাদের বসন্ত উৎসবের ইতিহাস চার হাজার বছরেরও বেশী দীর্ঘ।
বসন্ত
উৎসবকে স্বাগত জানানোর জন্য চীনের শহরাঞ্চল ও পল্লী অঞ্চলের অধিবাসীরা নানা ধরনের প্রস্তুতি
নিয়ে থাকেন। দক্ষিণ চীনে বছরের শেষ খাবারের টেবিলে
যত ধরনের খাবার থাকুক না কেন, কিন্তু এগুলোর মধ্যে টোফু অর্থাৎ
সয়াবীনের দই ও মাছ থাকতেই হবে। এতে
নতুন বছরে চীনাদের আশা-আকাংখা প্রতিফলিত হয়।
অপর দিকে উত্তর চীনে বছরের শেষ খাবারের টেবিলে চিয়াও চি নামক এক খাবার অবশ্যই থাকতে
হবে। চিয়াউ চি চীনের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয়
খাবার।
চীনাদের
বসন্ত উৎসবের কর্মসুচী বৈচিত্র্যময়। স্থানীয়
অপেরা ও চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান, সিংহ নাচ, ড্রাগণ লন্ঠন জ্বালানো, বিভিন্ন ধরনের মেলা ইত্যাদি
কর্মসুচীর কল্যাণে সর্বত্রই উত্সবের আনন্দমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। বসন্ত
উৎসব চলাকালে চীনারা তাদের বাড়ীর প্রবেশদ্বারে নতুন বছরের দেওয়াল চিত্র লাগায় অথবা
বাড়ীর ফটকে কিংবা সদর দরজায় নানা ধরনের চীনা লন্ঠন ঝুলিয়ে রাখে যা বসন্ত উৎসবের অন্যতম
আরেকটি রেওয়াজ।
বসন্ত
উৎসবের সময় প্রতিটি চীনা মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে। এ
উৎসবের মাধ্যমে চীনাদের আত্মীয়স্বজনের পুনর্মিলন, বন্ধুদের সঙ্গে
মৈত্রী জোরদার এবং শান্তি ও সুখ কামনাসহ আগামী দিনের পথ চলার দিক নির্দেশিকা হিসাবে
কাজ করে। তাদের জীবনে পরিবারের সবার সাথে মিলেমিশে
আনন্দে থাকার এক শক্তিশালী অনুপ্রেরণা। এ
দিন যে যেখানে, অর্থাৎ যত দূরেই থাকুক না কেন,
সবাই বাড়ি ফিরে আসে।
চীনাদের
রীতি অনুযায়ী বসন্ত উৎসব ১২ বছর ১২টি প্রাণির নামে বর্ষ নামকরণ করা হয়ে থাকে। যাতে
কল্যাণ রয়েছে বলে তাদের ধারনা।
যেমন
২০১২ সালে তারা পালন করেছে ‘ড্রাগন বর্ষ’,
২০১৩
সালে- সাপ বা সর্প বর্ষ,
২০১৪
সালে- ঘোড়া বর্ষ,
২০১৫
সালে- ছাগল বা ভেড়া বর্ষ, এবং
২০১৬
সালে- 'বানর বর্ষ'। যা
ছিলো বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের প্রতীক।
তার-ই
ধারাবাহিকতায় এবারের ২০১৭ বর্ষটি হচ্ছে ‘মোরগ বর্ষ’।
সকালের
সোনালী মোরগ নতুন বছর চীনের জনগণের জীবনে অনেক সুখ, শান্তি ও আনন্দ বয়ে আনবে এই মোরগ
বর্ষের কল্যাণে।
চীনা
নববর্ষ তথা বসন্ত উৎসবের এই শুভ লগ্নে চীনা নাগরিকদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন
বাংলাদেশে চীন আন্তর্জাতিক বেতার বাংলা বিভাগের অসংখ্য শ্রোতা এবং শ্রোতা সংগঠের
নেতৃবৃন্দ। চীনা বসন্ত উৎসব উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে যারা আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন
চলুন এখন তাদের কথা শুনি..........
(১)
কাজল ভৌমিক, সুনামগঞ্জ
(২)
জিল্লুর রহমান জিলু, সিলেট
(৩)
মো. আশরাফুল মাওলা ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম
(৪)
শহীদুল কায়সার লিমন, গাজীপুর
(৫)
মো. আরিফুল ইসলাম, নাটোর
(৬)
এম. ফোরকান, চট্টগ্রাম
(৭)
সৈয়দ রেজাউল করিম বেলাল, ঢাকা
(৮)
আতাউর রহমান রঞ্জু, রংপুর
(৯)
এস.এম.আক্তারুল ইসলাম, সাতক্ষীরা
(১০)
নূরে আলম সিদ্দিকী নূর, দিনাজপুর
(১১)
মো. কামরুজ্জামান, নোয়াখালী
(১২)
মো. চাঁন মিয়া, সিলেট
(১৩)
মো. ওসমান গণী, ঢাকা
(১৪)
মিঠুন রায়, খুলনা
(১৫)
আশরাফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা
(১৬)
মো. আবদুল হালিম, কুমিল্লা
(১৭)
খন্দকার রফিকুল ইসলাম, নওগাঁ
(১৮)
সাখাওয়াৎ হোসেন বিদ্যুৎ, ঝিনাইদহ
(১৯)
বিধানচন্দ্র টিকাদার, গোপালগঞ্জ
(২০)
নুর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম
(২১)
মো. শামীম আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
(২২)
মো. ইয়াকুব আলী, শরীয়তপুর এবং
(২৩)
অনাথবন্ধু দেবনাথ, যশোর।
শ্রোতাবন্ধুরা,
আপনারা এতক্ষণ শুনছিলেন চীনা নববর্ষ তথা বসন্ত উৎসব উপলক্ষে শ্রোতাদের শুভেচ্ছা ও
শুভকামনার কথা।
দীর্ঘ
পনের দিনের এই বসন্ত উৎসব উদযাপন পূর্ণিমা রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ঠন উৎসবের মধ্য
দিয়ে সমাপ্ত হবে।
এই
উৎসবের মূল উদ্দেশ্য কেবলই একটি নতুন বছরের আগমনে আনন্দ প্রকাশ করা নয়, এর উদ্দেশ্য মানুষে মানুষে পারস্পরিক সমঝোতা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধি,
ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শন এবং সকলের সুন্দর ভবিষ্যত প্রত্যাশা।
সবাইকে
আবারো ২০১৭ চীনা মোরগ বর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে এখানে বিদায় নিচ্ছি।
দিদারুল
ইকবাল
বাংলাদেশ
মনিটর
চীন
আন্তর্জাতিক বেতার।
No comments:
Post a Comment